
সংগৃহীত ছবি
এশিয়া কাপের অলিখিত সেমিফাইনালে টস জিতে পাকিস্তানকে ফিল্ডিংয়ে পাঠিয়ে দারুণ সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান সংগ্রহ করে। ফলে ফাইনালের টিকিট পেতে বাংলাদেশকে ১৩৬ রান করতে হবে।
ম্যাচের শুরুতেই বাংলাদেশের বোলাররা পাকিস্তানকে চাপে ফেলে দেয়। ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই পেসার তাসকিন আহমেদ ওপেনার সাহিবজাদা ফারহানকে (৪ রান) রিশাদের ক্যাচে পরিণত করেন। এ উইকেটটি ছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাসকিনের ১০০তম উইকেট। তিনি সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানের পর তৃতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে এ মাইলফলক স্পর্শ করেন।
পরের ওভারেই অফ-স্পিনার মেহেদী হাসান ফেরান সাইম আইয়ুবকে। সাইম শূন্য রানে আউট হন। যা এবারের এশিয়া কাপে তার চতুর্থ ‘ডাক’।
আরও পড়ুন>>>তাসকিন-মেহেদীর ঝড়ে চাপে পাকিস্তান
এরপর পাকিস্তানের ইনিংসে আরও ধস নামে। লেগ-স্পিনার রিশাদ হোসেন ফখর জামানকে (১৩ রান) আউট করেন। পরে তিনি হুসেইন তালাতকেও (৪ রান) ফেরান। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে পাকিস্তানি অধিনায়ক সালমান আগা (১৯ রান) আউট হলে ৪৯ রানেই ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
৫১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর শাহিন আফ্রিদি ও মোহাম্মদ হারিস জুটি বাঁধেন। আফ্রিদিকে আউট করার বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। এক ওভারেই তিনবার বেঁচে যান তিনি। নুরুল হাসান, মেহেদী হাসান ও পারভেজ হোসেন তার ক্যাচ ফেলে দেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাসকিনের বলে জাকের আলীর হাতে ধরা পড়েন আফ্রিদি (১৯ রান)।
এরপর মোহাম্মদ হারিস ও মোহাম্মদ নেওয়াজ মিলে পাকিস্তানকে ১০০ রানের বেশি সংগ্রহ করতে সাহায্য করেন। হারিস ২৩ বলে ৩১ রান করে মেহেদী হাসানের বলে ক্যাচ তুলে দেন। শেষ দিকে মোহাম্মদ নেওয়াজ ২৫ রান করে পারভেজ হোসেনের দুর্দান্ত এক ক্যাচে পরিণত হন। এ উইকেটটিও নেন তাসকিন।
বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ২৮ রানে ৩টি উইকেট নেন। মেহেদী হাসান ৪ ওভারে ২৮ রানে ২টি উইকেট ও রিশাদ হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান ১টি করে উইকেট নেন।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।