
ছবি: বাফুফে
গত মাসে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে আফঈদা খন্দকাররা। মায়ানমারে ইতিহাস গড়ে দেশে ফিরে কোচ পিটার বাটলারের শিষ্যরা আরও একটি টুর্নামেন্ট খেলেছে ঘরের মাঠে। সেখানে দাপট দেখিয়ে জিতে নিয়েছে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা। জয়ের সে তাজা স্মৃতি সঙ্গী করেই লাল সবুজের মেয়েরা লাওসে গেছেন অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে খেলতে।
বুধবার (০৬ আগস্ট) প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয় স্বাগতিক লাওসের। এ ম্যাচে ৩-১ গোলে হারিয়েছে লাওসকে। ভিয়েনতিয়েনের নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে দুই অর্ধে দুটি গোল করেন সাগরিকা। অন্য গোলটি করেন মুক্তি। অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান বাছাইয়ে ১৩ ম্যাচে তৃতীয জয় এটি বাংলাদেশের।
প্রথম গোলটি এসেছে ম্যাচের ৩৬ মিনিটে। শান্তি মার্ডির কর্নার থেকে আসা বলে মাথা ছুইয়ে বল জালে জড়ান সাগরিকা। গত মাসে ঘরের মাঠে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে তিন ম্যাচে ৮ গোল করে টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছিলেন ১৭ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড।
পাঁচ মিনিট পর শিখা সিনহার জোরালো শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে ব্যবধান বাড়েনি। এছাড়া এর আগে একাধিক প্রচেষ্টা লাওস গোলকিপার নস্যাৎ করে দেন। প্রতি আক্রমণে উঠে লাওস মাঝে মধ্যে আতঙ্ক ছড়ালেও গোল শোধ দিতে পারেনি।
লাওসের ওপর চাপ অব্যাহত রেখে ৫৮ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানো গোলও পেয়ে যায় বাটলারের দল। তৃষ্ণার বাড়ানো থ্রু পাস ধরে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান মুনকি আক্তার।
আরও পড়ুন<<>>‘আমি অচেনা শত্রুর খপ্পরে পড়েছি’
তবে ৮৭ মিনিটে লাওস এক গোল শোধ দেয়। তিন ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে আন্না কিও গোলকিপারের পাশ দিয়ে দারুণ ফিনিশ করেন। তবে শেষ পর্যন্ত হার এড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা। বরং যোগ করা সময়ে তৃষ্ণার পাসে বক্সের ভেতরে সাগরিকা প্লেসিং করে বাংলাদেশের জয় সুনিশ্চিত করেন।
স্বাগতিক হলেও লাওস বাংলাদেশের বিপক্ষে তেমন দাপুটে ফুটবল খেলতে পারেনি। কাউন্টার অ্যাটাক কিংবা বাংলাদেশের ভুল পাসে বল পেয়ে কয়েকটি আক্রমণ করেছে। এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী টুর্নামেন্টের বাছাইয়ে বাংলাদেশের গ্রুপে অন্য দুই দল শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়া ও অপেক্ষাকৃত দুর্বল তিমুরলেস্তে। দক্ষিণ কোরিয়া এ গ্রুপের হট ফেভারিট। বাংলাদেশের লক্ষ্য গ্রুপের রানার্সআপ নিশ্চিত করে বাকি আট গ্রুপের মধ্যে সেরা তিন রানার্স আপ হয়ে চূড়ান্ত পর্ব খেলা। ফলে স্বাগতিক লাওসের বিপক্ষে জয় খুবই প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের গ্রুপে লাওস ছাড়াও আছে শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়া। লাওসের সিনিয়র দলের ফিফা র্যাংকিং ১০৭, দক্ষিণ কোরিয়ার ১৯ আর বাংলাদেশের ১২৮। লাওস বাংলাদেশের চেয়ে ২১ ধাপ এগিয়ে।
শুক্রবার (০৮ আগস্ট) দ্বিতীয় ম্যাচে পূর্ব তিমুরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। প্রথম দিনে পূর্ব তিমুরকে ৯-০ গোলে হারিয়েছে গ্রুপের শক্তিশালী দল দক্ষিণ কোরিয়া। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পূর্ব তিমুরকে বড় ব্যাবধানে হারাতে চায় পিটার বাটলারের শিষ্যরা।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।