
ফাইল ছবি
অবসরের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। হঠাৎ করেই তাকে বসিয়ে দেয়া হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির চেয়ারে। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান তারপর থেকেই দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন।
আগামী অক্টোবরে বুলবুলের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। কারণ, বিসিবির নির্বাচন। বিসিবি সভাপতি হওয়ার পরই তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন অল্প সময়ের জন্য দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। তবে ক্রিকেট পাড়ায় গুঞ্জনই রটেছে বুলবুল নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন।
বাংলাদেশের সাবেক এ অধিনায়ক এমন গুঞ্জনে বেশ অবাক। এক সাক্ষাৎকারে তিনি আবারও জানালেন বিসিবির পূর্ণকালীন সভাপতি হওয়ার কোনো ইচ্ছা তার নেই, পূর্ণ মেয়াদে আবার সভাপতি হওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। কেউ এটা নিয়ে আমার সঙ্গে কোনো কথাও বলেনি। একদমই বুঝতে পারছি না যে কোনো কথাবার্তা ছাড়া কী করে এরকম একটা খবর বাজারে ছড়িয়ে পড়ল।
কয়েকটি গণমাধ্যমে বলা হচ্ছিল এনএসসি কোটায় আবার পরিচালক হয়ে সভাপতি হবেন বুলবুল। অথচ ফারুক আহমেদের জায়গায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব নিয়ে বুলবুল জানিয়েছিলেন অল্প মেয়াদে টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলার কথা। সভাপতি হতে চাইলে সেটা হয়ে যাবে টেস্ট ইনিংস।
এমন কোনো ইচ্ছা না থাকার কথাই জানালেন বুলবুল আমি সিক্স-এ সাইডও খেলতে আসিনি। টেস্ট কিংবা ওয়ানডে খেলতে আসিনি। আমার যেটা খেলার সেটা খেলে চলে যাব। … এখন তো মনে হচ্ছে আমি অচেনা শত্রুর খপ্পরে পড়েছি। আমি জানি না, চিনি না অথচ তারা দিব্যি পরিবেশন করে যাচ্ছে আমার আবার সভাপতি হওয়ার খবর…যে বা যারা এটি করছে তাদের উদ্দেশ্য সৎ নয়।
তাহলে অক্টোবরেই শেষ হচ্ছে বিসিবি সভাপতি হিসেবে বুলবুলের মেয়াদ? এমন প্রশ্নে আবার হেসে রহস্যমাখা উত্তর দিয়েছেন বুলবুল, ‘সময়ই বলবে। দেশে ব্যক্তিগত কাজে এসে বিসিবি সভাপতি হয়ে গেলাম। জানতামই না যে এরকম কিছু ঘটবে। সামনে কী ঘটে, দেখা যাক না।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।