
‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা করছেন এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে । রোববার (০৩ আগস্ট) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশে এ ইশতেহার ঘোষণা করেন দলটির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম। ইশতেহারে ২৪টি দফা তুলে ধরেছে এনসিপি।
এদিন সমাবেশ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা সমবেত হন। ‘জুলাই আন্দোলনের’ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দলটি বিচার প্রতিষ্ঠা, কাঠামোগত সংস্কার এবং একটি নবতর রাজনৈতিক দর্শনের কথা তুলে ধরেছে।
দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মী, সমর্থক ও বিশ্লেষকের পাশাপাশি শিক্ষার্থী এবং প্রথমবারের মতো ভোটার হতে যাওয়া বিপুলসংখ্যক তরুণ সমাবেশে অংশ নেন। এতে দেশের রাজনৈতিক পরিসরে তরুণ প্রজন্মের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততা প্রতিফলিত হয়।
এনসিপির নেতারা বলেন, বিচার, মর্যাদা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় উদ্যোগ প্রয়োজন। এ সময় ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’-কে জনগণকেন্দ্রিক একটি রোডম্যাপ হিসেবে উল্লেখ করেন তারা।
আরওপড়ুন<<>>‘যোগ্য নেতৃত্বই বদলে দেবে বাংলাদেশ’
অনুষ্ঠানের প্রতীকী মঞ্চে লেখা ছিল— ‘বিচার। সংস্কার। ভবিষ্যৎ।’ সমাবেশে গত বছরের দুর্নীতি, বৈষম্য ও রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে ছাত্র ও তরুণদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ‘জুলাই আন্দোলনে’ নিহতদের জন্য ন্যায়বিচারের দাবি ছিল কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু।
‘নতুন বাংলাদেশ ঘোষণা’ শিরোনামে ৪৮ পৃষ্ঠার একটি নীতিপত্র ডিজিটাল ও মুদ্রিত—উভয় মাধ্যমেই প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ছয়টি মূল স্তম্ভের ভিত্তিতে এনসিপির নীতিগত অঙ্গীকার ও দিকনির্দেশনা তুলে ধরা হয়েছে।
‘নতুন বাংলাদেশের জন্য ইশতেহার’ শীর্ষক এনসিপির ঘোষণা ও অঙ্গীকারনামায় আছে- ১। নতুন সংবিধান ও সেকেন্ড রিপাবলিক, ২। জুলাই অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি ও বিচার, ৩। গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার, ৪। ন্যায়ভিত্তিক বিচারব্যবস্থা ও আইন সংস্কার, ৫। সেবামুখী প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন, ৬। জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ৭। গ্রাম পার্লামেন্ট ও স্থানীয় সরকার, ৮। স্বাধীন গণমাধ্যম ও শক্তিশালী নাগরিক সমাজ, ৯। সার্বজনীন স্বাস্থ্য, ১০। জাতিগঠনে শিক্ষানীতি, ১১। গবেষণা, উদ্ভাবন ও তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লব, ১২। ধর্ম, সম্প্রদায় ও জাতিসত্বার মর্যাদা, ১৩। নারীর নিরাপত্তা, অধিকার ও ক্ষমতায়ন, ১৪। মানবকেন্দ্রিক ও কল্যাণমুখী অর্থনীতি, ১৫। তারুণ্য ও কর্মসংস্থান, ১৬। বহুমুখী বাণিজ্য ও শিল্পায়ন নীতি, ১৭। টেকসই কৃষি ও খাদ্য সার্বভৌমত্ব, ১৮। শ্রমিক-কৃষকের অধিকার, ১৯। জাতীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনা, ২০। নগরায়ন, পরিবহন ও আবাসন পরিকল্পনা, ২১। জলবায়ু সহনশীলতা ও নদী-সমুদ্র রক্ষা, ২২। প্রবাসী বাংলাদেশির মর্যাদা ও অধিকার, ২৩। বাংলাদেশপন্থী পররাষ্ট্রনীতি, ২৪। জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশল
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।