Apan Desh | আপন দেশ

পদত্যাগ নামে ইমোশনাল ব্লাকমেইল দেখছেন রাশেদ খাঁন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:২৫, ২৭ মে ২০২৫

আপডেট: ১৯:২৫, ২৭ মে ২০২৫

পদত্যাগ নামে ইমোশনাল ব্লাকমেইল দেখছেন রাশেদ খাঁন

ফাইল ছবিতে রাশেদ খান। ইনসেটে প্রধান উপদেষ্টা

কি সংস্কার করলেন ১০ মাসে? পদত্যাগ কি কেউ চেয়েছে? এমন প্রশ্ন রেখেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি বলেন, পদত্যাগ নামে ইমোশনাল ব্লাকমেইল করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার মধ্যে নিশ্চিত কোন রহস্য আছে। নতুবা প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন কিভাবে একটি রাজনৈতিক দলের নেতার মুখ থেকে শুনতে হয়? কেন তিনি পদত্যাগ করবেন? 

জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা; সংস্কার ও বাস্তবতা  নিয়ে পেশাজীবীদের ভাবনা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এমন দাবি করেন রাশেদ খান। মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেল ৪ টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ পেশাজীবি অধিকার পরিষদ। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন বলেন, সরকারকে বলবো জাতীয় সংলাপ যাতে চা নাস্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে কি সিদ্ধান্ত নিলেন, সেটি জাতিকে জানান। নতুবা এ সংলাপ ব্যর্থ হিসেবে বিবেচিত হবে। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করা নিয়ে এতে গড়িমসি কেন প্রশ্ন করেন রাশেদ খান। 

তিনি বলেন, জাতিকে অন্ধকারে রেখে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে সংস্কার করা যায় না। সংস্কারের জন্য স্বচ্ছতা ও পরিকল্পনা লাগে। ১০ মাসে কি সংস্কার করলেন? পদত্যাগ নামে ইমোশনাল ব্লাকমেইল করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার মধ্যে নিশ্চিত কোন রহস্য আছে। নতুবা প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন কিভাবে একটি রাজনৈতিক দলের নেতার মুখ থেকে শুনতে হয়? কেন তিনি পদত্যাগ করবেন? তার পদত্যাগ কি কেউ চেয়েছে? বরং এ জাতি তাকে সম্মানিত করেছে। ভবিষ্যতেও করবে। উপদেষ্টা পরিষদে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়া বাকিদের পারফরম্যান্স তো দেখিনা? এ অযোগ্য উপদেষ্টা পরিষদ দিয়ে টিম জেতা যাবেনা। প্রধান উপদেষ্টা মাঝেমধ্যে নতুন উন্মাদনা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু দেখলাম বাকিদের ১০ মাসের ব্যর্থতা।

তিনি বলেন, এভাবে বিচার,সংস্কার ও নির্বাচন কোনটায় সঠিকভাবে হবেনা। সঠিকভাবে সবকিছু করার জন্য উপদেষ্টা পরিষদের সংস্কার জরুরি। কিন্তু সেদিকে মনোযোগ নাই, সরকার বিদেশিদের তাবেদারি করতে করিডর, বন্দর দেয়ার খেলায় মেতেছে। আবার বিনিয়োগ আসবে, রোহিঙ্গা ফেরত যাবে কতশত কথার ফুলঝুরি! সরকারকে বলবো, যতোটুকু  বাস্তবায়ন করতে পারবেন, ততোটুকু স্বপ্ন দেখান। অতিরিক্ত স্বপ্ন দেখিয়ে, সেটির বাস্তবায়ন না করতে পারলে পরে জাতি হতাশ হবে। আমরা কেউ বলি নাই,  সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন দিয়ে দেন। তবে একটার সঙ্গে আরেকটা মুখোমুখি করবেন না। 

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পেশাজীবি অধিকার পরিষদের সভাপতি ডেন্টিস্ট জাফর মাহমুদ। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ হাসান। এছাড়াও বক্তব্য দেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক লতিফ মাসুম, পেশাজীবি অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি ড. ইমরান হোসাইন, ড. মোহা. শরিফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মেহেদি হাসান, মনিরুল মাওলা, জি এম রোকোনুজ্জামান,বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ খান বাপ্পী, মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি আবির আহমেদ সবুজ প্রমুখ।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ
SS Power

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়