আলী আহসান জুনায়েদ-রাফে সালমান রিফাত
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে ছাত্রদের নতুন দল। তবে নতুন এ দল থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আলী আহসান জুনায়েদ ও যুগ্ম সদস্য সচিব রাফে সালমান রিফাত।
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক দেয়া পৃথক স্ট্যাটাসে দল থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন তারা।
আলী আহসান জুনায়েদ ও রাফে সালমান রিফাত বর্তমানে চীন সফরে রয়েছেন। দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে সেখানে যান তারা। তাদের চীন সফর নিয়েও আপত্তি উঠে নাগরিক কমিটিতে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দেয় সংগঠনটি।
আলী আহসান জুনায়েদ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি তরুণদের নেতৃত্বে যে নতুন রাজনৈতিক দলটি আসছে, সেখানে আমি থাকছি না। সে কথা আমি আরও সপ্তাহখানেক আগেই জানিয়েছি দলের নেতাদের। বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে ও জাতির নজর নতুন দলের ওপর নিবদ্ধ রাখতে নীরবতা বেছে নিয়েছিলাম। কিন্তু চারপাশের গুঞ্জন থামছে না। তাই, স্পষ্ট করে রাখছি।
তিনি আরও লিখেছেন, আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারীদের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দল দেশের স্বার্থেই প্রয়োজন। নতুন এ দলের প্রতি আমার দোয়া ও শুভকামনা রইল। জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সততা ও ন্যায়ের পথ থেকে বিচ্যুত না হোক এ দলটি। দুর্নীতির সকল সুযোগ বন্ধ করে নতুন ধারার রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু হোক এ দলে।
আরও পড়ুন<<>>নতুন ছাত্রসংগঠনের আত্মপ্রকাশ বিকেলে
জুনায়েদ বলেন, বারবার বলার পরও যদিও হয়নি, তবুও চাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার যথাযথ অনুসরণ ও ইনক্লুসিভনেস এ দলের বৈশিষ্ট হোক। দুঃখজনক বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার পরও ট্যাগিং ও ট্যাবুর রাজনীতি থেকে মুক্ত হয়ে নতুন ধারার রাজনীতি এ দলের মাধ্যমে শুরু হোক এ প্রত্যাশাই করি। আশা করি, অভ্যুত্থানের সময়ে আমাদের মধ্যে যে ভ্রাতৃত্ব, ভালোবাসা ও সহযোগিতার সম্পর্ক ছিল। নতুন রাজনৈতিক পথচলায়ও আমাদের পারস্পরিক এ সম্পর্ক ও শ্রদ্ধাবোধ অপরিবর্তিত থাকবে। নতুন দল, নাহিদ ইসলাম এবং নব নেতৃত্বের জন্য শুভকামনা রইল।
অপরদিকে জুনায়েদের ওই ফেসবুক পোস্টটি শেয়ার করে রাফে সালমান রিফাত লিখেছেন, ২৮ তারিখে ঘোষিত হতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দলে আমিও থাকছি না। তবে আমার রাজনৈতিক পথচলা থেমে থাকবে না। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন রাজনৈতিক সম্ভাবনার যে জোয়ার তৈরি হয়েছিল, তাতে শর্ট টার্মে খুব ভালো কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা রাখি না আপাতত। কিন্তু একই সঙ্গে এটাও মনে রাখি যে, রাজনীতি একটা লম্বা রেইস। ধৈর্য নিয়ে লম্বা সময়ের জন্যই আমাদেরকে এ রেইসে টিকে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা নতুন সে বাংলাদেশের প্রত্যাশি, যেটা হবে সত্যিকার অর্থেই ডেমোক্রেটিক, ইনক্লুসিভ, বৈষম্যহীন এবং আধিপত্য মুক্ত। ঐক্যবদ্ধতা ও মধ্যমপন্থাই হবে আমাদের শক্তি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের জিহাদ চলবে। আঞ্চলিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধেও আমাদের লড়াই চলবে। বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমরা জান দিয়ে লড়ব। নতুন দলের জন্য দোয়া এবং শুভকামনা রইল।
আপন দেশ/এমএস
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
