ফাইল ছবি
গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এছাড়া নতুন অধ্যাদেশে গুমের জন্য সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধ এবং প্রতিকারের জন্য একটা আইন নিয়ে অনেক দিন যথেষ্ট ডিবেট হয়েছে। হওয়ার পর আজকে এটা চূড়ান্তভাবে অনুমোদন হয়েছে। এ অধ্যাদেশে গুমকে সংজ্ঞায়নের পাশাপাশি চলমান অপরাধ, কন্টিনিউ অফেন্স হিসেবে বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন<<>>এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল ১৬ নভেম্বর
তিনি আরও বলেন, গোপন আটক কেন্দ্র আয়নাঘর নামে পরিচিত স্থাপন ব্যবহারকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আয়নাঘর স্থাপন এবং এটা ব্যবহার শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গুমসংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্ত কমিশনকে গুমসংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্তের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এই অধ্যাদেশে গুম প্রতিরোধ প্রতিকারের লক্ষ্যে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের ১২০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্নের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ভুক্তভোগী-সাক্ষীর অধিকার সুরক্ষা ক্ষতিপূরণ এবং আইনগত সহায়তা নিশ্চয়তা প্রদান সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া গুম প্রতিরোধ প্রতিকার এবং সুরক্ষার উদ্দেশ্যে তহবিল গঠন এবং তথ্যভাণ্ডার প্রতিষ্ঠার বিধানও সংযোজিত হয়েছে।
শেখ হাসিনার সময়ে দেশে হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে গুম হয়েছিলো অভিযোগ করে তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধ কমিশনে এ সংক্রান্ত প্রায় ২ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। গুম কমিশনে যারা সদস্য রয়েছেন, তারা বলেছেন এর সংখ্যা ৪ হাজারের ওপরে হবে। দেশে শত শত আয়নাঘর ছিল। সেখানে গুমের শিকারদের রাখা হতো। অনেকে সেখান থেকে ফিরে এসেছেন। অনেক এখনও ফিরে আসেননি। বিএনপির অনেক কর্মী ফিরে আসেননি।
এটা বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক আইন। এর ফলে আর কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার এসে গুমের রাজত্ব চালাতে পারবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আপন দেশ/এসআর
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































