Apan Desh | আপন দেশ

‘বাংলাদেশ আর কখনও স্বৈরশাসনের পথে ফিরবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:৩৪, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‘বাংলাদেশ আর কখনও স্বৈরশাসনের পথে ফিরবে না’

ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি সংগৃহীত

বাংলাদেশ আর কখনো স্বৈরশাসনের পথে ফিরবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, দলমত নির্বিশেষে গঠিত ঐকমত্যের ভিত্তিতেই দেশের গণতন্ত্র ও সংস্কার কার্যক্রম টেকসইভাবে এগিয়ে যাবে।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, জনগণের আত্মত্যাগে অর্জিত ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র কাঠামো পুনর্গঠনের প্রক্রিয়াকে আর কোনো শক্তি বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।

তিনি বলেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের দাবিতে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্ম। কিন্তু যে অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আত্মত্যাগ করেছিলাম তা গত পাঁচ দশকে বারবার বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। জনগণকে বারবার সে অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা স্মরণ করিয়ে দেন, চলতি বছর পালিত হয়েছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর প্রথম বার্ষিকী, যেখানে তরুণসমাজ স্বৈরাচারকে পরাভূত করেছিল। সে অভ্যুত্থান বৈষম্যমুক্ত ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের নতুন পথ খুলে দিয়েছে। আর সে দায়িত্বই আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে জনগণ।

আরওপড়ুন<<>>সার্ক নিয়ে ভারতের ওপর ক্ষুব্ধ ড. ইউনূস

ভেঙে পড়া রাষ্ট্র কাঠামো পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাহী আদেশে সংস্কার চালানো সম্ভব হলেও সরকার বেছে নিয়েছে কঠিন পথ—অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রক্রিয়া। এজন্য বিচার বিভাগ, শাসনব্যবস্থা, নির্বাচন, জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা, দুর্নীতি দমন ও নারী অধিকারসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে ১১টি স্বাধীন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়।

ড. মুহ্ম্মদ ইউনূস জানান, সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরির জন্য ৩০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল ও জোটকে নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এর ফলশ্রুতিতেই গত জুলাই মাসে সব দল একসঙ্গে ‘জুলাই ঘোষণা’র মাধ্যমে সংস্কার কার্যক্রমে সময়াবদ্ধ অঙ্গীকার করে।

তিনি বলেন, এ অঙ্গীকারের ফলে আগামী নির্বাচনে যে দলই জনগণের সমর্থন পাক না কেন, সংস্কার বাস্তবায়নে কোনো অনিশ্চয়তা থাকবে না। বাংলাদেশের গণতন্ত্র আর কখনও হুমকির মুখে পড়বে না।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে নাগরিকবান্ধব সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

আপন দেশ/এমএইচ
 

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ
SS Power

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়

শীর্ষ সংবাদ:

সরকার থেকে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনার পর গণভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত: সিইসি আ.লীগের ৪৩ নেতাকর্মী গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আলী রীয়াজ বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক সন্ধ্যায় সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি শেখ হাসিনাদের বিরুদ্ধে রায় ১৭ নভেম্বর, মানবতাবিরোধী অপরাধ নতুন কুঁড়ির বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার দিলেন প্রধান উপদেষ্টা খেলোয়াড়রা সহযোগিতা না করলে নিরপেক্ষতা হারাবে নির্বাচন কমিশন ট্রাইব্যুনালে কড়া নিরাপত্তা পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে ট্রাকে আগুন মার্কিন ইতিহাসের দীর্ঘতম সরকারি শাটডাউনের অবসান ঘটল শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল করল ডাকসু রাজপথের আ. লীগ অধিক শক্তিশালী-জনপ্রিয়: রিচি সোলায়মান