
ফাইল ছবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিতসহ ৪টি প্যানেল নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে। ফের নির্বাচন কমিশন গঠন করে তফসিল ঘোষণাসহ পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে অনেকে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাকসুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে প্রথম ভোট বয়কট করে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল।
পরবর্তীতে সম্প্রীতির ঐক্য, সংশপ্তক পর্ষদ ও স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদও ভোট বয়কটের ঘোষণা দেয়। ৫ স্বতন্ত্র প্রার্থীও এক পর্যায়ে ভোট বর্জন করে।
এদিকে, অনিয়মের অভিযোগ তুলে জাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন বিএনপিপন্থী ৩ শিক্ষক। তাদেরই একজন শিক্ষক ড. নাহরীন ইসলাম খানের সঙ্গে কথা বলেছে সাংবাদিকরা।
ড. নাহরীন ইসলাম খানের অভিযোগ, ভোট প্রদানের পর আঙুলে অমোচনীয় কালি ব্যবহার করার কথা থাকলেও যে কালি দেয়া হচ্ছে তা উঠে যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছেন বলে দাবি তার।
আরও পড়ুন<<>> জাকসু নির্বাচন বর্জন ছাত্রদলের
এছাড়া শিক্ষার্থীদের বরাতে কালি ব্যবহার না করারও অভিযোগ তোলেন এ শিক্ষক। তিনি বলেন, ভোটের নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে হাতে ব্যালট পেপার ও হাতে কালি দেয়ার কথা। এরপর বাক্সে ভোট প্রদান। কিন্তু ভোট দেয়ার পর এক্সিট করার সময় বাইরে থেকে কেউ হাতে কালি লাগিয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১১ হাজার ৮৯৭ জন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫ পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন ১৭৭ প্রার্থী। বামপন্থি, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রদের সমর্থিত মিলিয়ে সর্বমোট আটটি প্যানেল ছিল এবারের জাকসু নির্বাচনে।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।