ছবি সংগৃহীত
২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ ৬ দফা দাবিতে সারাদেশের সব হাসপাতালে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে হাসপাতালের রেজিস্ট্রার (নিউরো সার্জারি গ্রিন ইউনিট) আব্দুল আহাদ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা জানেন শনিবার থেকে ঢামেকে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে আমাদের তিনজন চিকিৎসককে নিউরো সার্জারি বিভাগ থেকে মারতে মারতে প্রশাসনিক ব্লকের পরিচালকের রুমে নিয়ে আসা হয়। সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই বহিরাগতরা এসে হাসপাতালে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এরপর ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে (ওসেক) এসে ভাঙচুর চালায়। এরকম ঘটনা যদি প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকে তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? রোগীদের কীভাবে চিকিৎসা সেবা দেবো। কোটা সংস্কার আন্দোলনে আহতদের আমরা চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। যেখানে আমাদের নিরাপত্তা নেই সেখানে আমরা কীভাবে চিকিৎসা দেবো।
তিনি আরো বলেন, অনতিবিলম্বে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সারাদেশের উপজেলা, জেলা সদরসহ সব হাসপাতালে সেনাবাহিনী নিয়োগ করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে স্বাস্থ্য পুলিশ নিয়োগ করতে হবে। আমাদের কর্মবিরতি চলবে। শুধু ঢাকা মেডিকেলেই কর্মবিরতি নয় সারা বাংলাদেশে এই কর্মবিরতি চলবে।
হাসপাতালের পরিচালক আমাদের নিশ্চিত করেছিলেন আমাদের ওপরে কোনো হামলা হবে না। কিন্তু তিনি তার সেই কথা রাখতে পারেননি। এখানে আমরা কোনো সেনা সদস্যকে দেখতে পাইনি।
এদিকে সকালে ঢামেক পরিচালক চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আন্দোলনের কারণে যেন রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে চিকিৎসকরা সেটি আমলে না নিয়ে ‘আমরা কোনো চিকিৎসা সেবা দেবো না’ —এই বলে সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে যান।
এদিন সকাল থেকেই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বাড়তে থাকে আগত রোগীদের ভিড়। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক সেনাসদস্য ও পুলিশ।
আপন দেশ/মাসুম
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































