ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাঁজা বিক্রিতে বাঁধা দেয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে খুন করে মাদক কারবারিরা। রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা সাম্য হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
আলোচিত এ হত্যা মামলায় সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। তদন্তে জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাঁজা বিক্রি করতে বাধা দেয়ায় শাহরিয়ারকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
অভিযুক্ত সাতজন হলেন—মেহেদী হাসান, মো. রাব্বি ওরফে কবুতর রাব্বি, মো. রিপন ওরফে আকাশ, নাহিদ হাসান পাপেল, মো. হৃদয় ইসলাম, মো. হারুন অর রশিদ সোহাগ ওরফে লম্বু সোহাগ এবং মো. রবিন। ডিবির দাবি, সবাই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
শনিবার (০৮ নভেম্বর) সকালে অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়টি জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ। তিনি বলেন, চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন<<>>জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
অব্যাহতির সুপারিশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন—তামিম হাওলাদার, সম্রাট মল্লিক, পলাশ সরদার ও সুজন সরকার।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে মাদক কারবারিদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাঁজা বিক্রি করতে নিষেধ করেছিলেন ঢাবি শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য ও তার বন্ধুরা। এ নিষেধকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে শত্রুতার সূত্রপাত।
গত ১৩ মে রাত ১১টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসার সময় ছুরিকাঘাতে আহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫)। ওই দিন রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় বন্ধুরা সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় সকালে নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম ডিএমপির শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ও এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের ২২২ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































