
ছবি: আপন দেশ
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়ের করা চারটি মামলায় তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আত্মসমর্পণ করেন মামুন হাসান। তিনি জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার আলাদা চারটি আদালত তার জামিন আবেদন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। চারটি মামলায় সব মিলিয়ে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মামুন হাসানের বিরুদ্ধে ৪ শতাধিক রাজনৈতিক মামলা আছে। এর মধ্যে ২৮৭টি মামলা এখনো চলছে।
কারাগারে যাওয়ার আগে মামুন হাসান আদালতের ফটকে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই আদালতে আত্মসমর্পণ করেছি। পুলিশকে তাদের কাজ করতে দিন। কোনো ধরনের ঝামেলা যেন না হয়। শেখ হাসিনা যেমন বিদায় নিয়েছে, এ অন্যায় রায়ের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করেছি। আমরা ন্যায়বিচার পাব, ইনশাআল্লাহ।
আরও পড়ুন>>>ফজলুর রহমানের দলীয় পদ স্থগিত
মামুন হাসানের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বিএনপি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বিজ্ঞ আদালতের জামিন দেয়ার এখতিয়ার না থাকায় মামুন হাসানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ বাঁচানোর আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, চারটি মামলায় মামুন হাসানের সাজা হয়েছে। ২০২৩ সালের ৮ নভেম্বর মিরপুর মডেল থানার একটি মামলায় তার তিন বছরের কারাদণ্ড হয়। একই দিন একই থানার আরেকটি মামলায়ও তার তিন বছরের কারাদণ্ড হয়। একই বছরের ১২ নভেম্বর মিরপুর মডেল থানার আরও একটি মামলায় তাকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়। এর আগে, ওই বছরের ২৬ অক্টোবর মিরপুর মডেল থানার আরেকটি মামলায় তার দেড় বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।