Apan Desh | আপন দেশ

ধানমন্ডির বিতর্কিত সম্পত্তিতে স্থিতাবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৪১, ১৮ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ১৭:১৮, ১৮ আগস্ট ২০২৫

ধানমন্ডির বিতর্কিত সম্পত্তিতে স্থিতাবস্থা

হাইকোর্ট। ফাইল ছবি

রাজধানীর ধানমন্ডি ২ নম্বর রোডে ৩০০ কোটি টাকা মূল্যমানের বাড়িটির পরিত্যক্ত সম্পত্তি বরাদ্দ দেয়া ও অবকাঠামো নির্মাণের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও বরাদ্দ দেয়া কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে ধানমন্ডির ওই বাড়িটির প্রায় ৩০০ কোটি দামের পরিত্যক্ত সম্পত্তি জনগণের জন্য কেন সংরক্ষণ করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কাজী মাইনুল হাসান।

এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বরে ধানমন্ডির ২ নম্বর রোডের প্রায় ৩০০ কোটি দামের পরিত্যক্ত সম্পত্তি ২৯ নম্বর বাড়ি সরকারের বলে রায় দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তথ্য গোপন করে এ বাড়ির মালিকানা দাবি করে রিট দায়ের করায় সাংবাদিক আবেদ খানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।

পৃথক দুটি রিট নিষ্পত্তি করে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আরও পড়ুন>>>বিদেশে ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। আবেদনকারী নেহাল আহমেদর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ আবুল হাসেম।

সেদিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান বলেছিলেন, ধানমন্ডি ২ নম্বর রোডের আলোচিত ২৯ নম্বর বাড়ি ১৯৭২ সালে তৎকালীন মালিক কর্তৃক পরিত্যাগ করে চলে যায়। পরে সরকার পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে দখল ও নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে ওই সম্পত্তির উত্তরাধিকার হিসেবে মালিকানা দাবি করে তোয়াব খান, আবেদ খান ও অন্যান্যরা প্রথম সেটেলমেন্ট কোর্টে ১৯৮৯ সালে মামলা দায়ের করেন। সাক্ষ্য ও পক্ষদ্বয়ের কাগজপত্র ও সরকারি নিবন্ধক দফতরের নথি পর্যালোচনা করে প্রথম সেটেলমেন্ট কোর্টে বর্ণিত সম্পত্তি সরকার আইনসঙ্গতভাবেই পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে দখল ও নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন মর্মে রায় প্রদান করেন। এ রায় বহাল থাকা অবস্থায়   এস নেহাল আহমেদ নামে এক ব্যক্তি ১৯৮৭ সালের আবেদন দেখিয়ে প্রথম সেটেলমেন্ট কোর্টে ১৯৯৬ সালে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সরকার পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হয়নি। প্রথম সেটেলমেন্ট কোর্টে  কোন সাক্ষী প্রদান করেননি, বা সমর্থনীয় ও আবশ্যকীয় কাগজপত্র দাখিল করা না হলেও এস. নেহাল আহমেদ দাবিকারী ব্যক্তির পক্ষে রায় প্রদান করেন। 

এ রায় বাস্তবায়নের এস নেহাল আহমেদ হাইকোর্টে ০২টি রিট পিটিশন দায়ের করেন।

কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, এদিকে একই সম্পত্তির বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত ও সমর্থনীয় কাগজপত্র ছাড়াই সাংবাদিক আবেদ খান তাদের বিরুদ্ধে সেটেলমেন্টের কোর্টের রায় গোপন করে ২০১৫ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। ওই সম্পত্তির মালিকানা দাবি করে রিট করা হয়। তথ্য গোপন করে রিট করায় আদালত তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।

আপন দেশ/এমবি
 

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়