সংগৃহীত ছবি
মরক্কোর উপকূলীয় শহর সাফিতে ১৪ ডিসেম্বর ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩২ জন।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) মরক্কো কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ইরানের সংবাদ সংস্থা তাসনিম।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, রাজধানী রাবাত থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার (১৮৬ মাইল) দক্ষিণে অবস্থিত সাফির রাস্তাঘাট কাদাপানিতে ভরপুর।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঐতিহাসিক পুরোনো শহরটিতে কমপক্ষে ৭০টি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন>>>সিডনি সৈকতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
আটলান্টিক উপকূলের বন্দর শহর থেকে আসা-যাওয়া করা বিভিন্ন রুটে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। কর্তৃপক্ষের মতে, মাত্র এক ঘণ্টার প্রবল বর্ষণ সাফি শহরের চিত্র পাল্টে দিয়েছে।
এদিকে, দেশটির আবহাওয়া অফিস আগামীকাল মঙ্গলবার সারা দেশে আরো ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে।
টানা সাত বছর ধরে ভয়াবহ খরার সঙ্গে লড়াই করা মরক্কোতে আকস্মিক ভারী বৃষ্টিপাতে বন্যা অস্বাভাবিক নয়। বৃষ্টিপাত হলে তা দ্রুত বন্যায় রূপ নেয় কারণ শুষ্ক মাটি পানি শোষণ করতে পারে না।
এটি জলবায়ু পরিবর্তনের একটি স্পষ্ট উদাহরণ, যেখানে শুষ্ক ও রুক্ষ মাটির কারণে হঠাৎ আসা অল্প বৃষ্টিও দ্রুত বন্যার কারণ হচ্ছে। যা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
আবহাওয়া অধিদফতরের জেনারেল ডিরেক্টরেট (ডিজিএম) জানিয়েছে, ২০২৪ সাল ছিল মরক্কোর রেকর্ডের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর, যেখানে গড় বৃষ্টিপাতের ঘাটতি মাইনাস ২৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
মরক্কোতে শরৎকালে সাধারণত তাপমাত্রা কমতে থাকে, কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়ার ধরন বদলে যাচ্ছে; আগে যেখানে শরৎকাল উষ্ণ থেকে হালকা থাকত, এখন সেখানে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত বা চরম আবহাওয়ার প্রভাব দেখা দিচ্ছে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































