রাশিয়ার পূর্ব কামচাটকা অঞ্চলে ’ক্র্যাশেনিনিকভ’ আগ্নেয়গিরি থেকে ছাইয়ের বিশাল স্তূপ বেরিয়ে আসছে
রাশিয়ার পূর্ব কামচাটকা অঞ্চলে প্রায় ৫শ’ বছরের বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো জেগে উঠেছে একটি সুপ্ত আগ্নেয়গিরি। এর ফলে ওই আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছে।
দেশটির জরুরি সংস্থা কর্তৃপক্ষ রোববার (০৩ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছে। এ অঞ্চলে রেকর্ড করা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পগুলোর কয়েকদিন পর এটি ঘটলো।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, ১৫৫০ সালে সর্বশেষ অগ্ন্যুৎপাত হওয়া 'ক্র্যাশেনিনিকভ' আগ্নেয়গিরি থেকে ছাইয়ের বিশাল স্তূপ বেরিয়ে আসছে।
কামচাটকার জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে একটি পোস্টে জানিয়েছে, ছাইয়ের বিশাল স্তূপটি ৬ হাজার মিটার (১৯৭০০ ফুট) উচ্চতায় পৌঁছেছে।
আরওপড়ুন<<>>গাজায় ত্রান কেন্দ্র যেন মৃত্যুর ফাঁদ, নিহত আরও ৬২ ফিলিস্তিনি
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগ্নেয়গিরি থেকে (ছাইগুলো) পূর্ব দিকে প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে ছড়িয়ে পড়ছে। ছাইগুলো যেদিক দিয়ে যাচ্ছে, সেখানে কোনো জনবসতিপূর্ণ এলাকা নেই। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোনো ছাই পড়ার ঘটনা রেকর্ড করা হয়নি। অগ্ন্যুৎপাতের ফলে এ অঞ্চলে বিমান চলাচলের ঝুঁকি নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অর্থাৎ, এখানে অঞ্চলে বিমান চলাচল ব্যাহত হতে পারে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) এ অঞ্চলে ইউরোপ ও এশিয়ার সর্বোচ্চ সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ক্লাইচেভস্কয়ের অগ্ন্যুৎপাতের পর সুপ্ত আগ্নেয়গিরিও সক্রিয় হওয়ার ঘটনাটি ঘটে। গ্লোবাল ভলকানিস্ট প্রোগ্রাম অনুসারে, ক্লাইচেভস্কয়ের অগ্ন্যুৎপাত বেশ সাধারণ। কেননা ২০০০ সাল থেকে এটিতে কমপক্ষে ১৮টি অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছে।
উল্লেখ্য, বুধবার রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপের পেট্রোপাভলভস্কে ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ২০১১ সালের পর থেকে এটি ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে চীন, জাপানসহ এশীয় কিছু দ্বীপ অঞ্চলে।
এর ফলে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয় এবং জাপান থেকে হাওয়াই ও ইকুয়েডর পর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চল থেকে লাখ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































