
ছবি: সংগৃহীত
কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটক নিহতের গঠনায় পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় ভারত। এতে পাকিস্তানের ১১ জন সেনা সদস্য এবং ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৮ সেনা।
মঙ্গলবার (১৩ মে) পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতরের (আইএসপিআর) বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে জিও নিউজ।
পাক সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা হতাহতের সবশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে জানিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে বিনা উসকানিতে নিন্দনীয় কাপুরুষোচিত আক্রমণ চালিয়েছে।
আরওপড়ুন<<>>যেসব বিষয়ে একমত হলো ভারত-পাকিস্তান
আইএসপিআর বলছে, বর্বরোচিত এ হামলায় ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৭ জন নারী এবং ১৫ জন শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১২১ জন। এর মধ্যে রয়েছেন ১০ জন নারী এবং ২৭ জন শিশু।
ভয়াবহ এ আগ্রাসনের জবাবে পাক সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং জানিয়েছে, পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী মারকা-ই-হকের পতাকাতলে দৃঢ় প্রতিশোধ গ্রহণ করেছে। অপারেশন বুনিয়ান-উম-মারসুসের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট এবং উন্নত প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে তাদের বাহিনী।
বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর মোট ১১ জন সদস্য বীরত্বের সঙ্গে মাতৃভূমি রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হন। এছাড়া ৭৮ জন আহত হন। জানা গেছে, নিহত সেনারা সবাই ১০ মে প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের নামের তালিকাও প্রকাশ করেছে আইএসপিআর।
আরওপড়ুন<<>>মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর হামলায় ২০ শিশু নিহত
নিহত পাক সেনারা হলেন, নায়েক আব্দুল রেহমান, ল্যান্স নায়েক দিলওয়ার খান, ল্যান্স নায়েক ইকরামুল্লাহ, নায়েক ওয়াকার খালিদ, সিপাহী মুহাম্মদ আদিল আকবর, সিপাহী নিসার।
বিমান বাহিনীর নিহত সদস্যরা হলেন, স্কোয়াড্রন লিডার উসমান ইউসুফ, প্রধান টেকনিশিয়ান আওরঙ্গজেব, সিনিয়র টেকনিশিয়ান নাজিব, কর্পোরাল টেকনিশিয়ান ফারুক, সিনিয়র টেকনিশিয়ান মুবাশির।
আইএসপিআর জানিয়েছে, শহীদদের মহৎ আত্মত্যাগ সাহস, নিষ্ঠা এবং অটল দেশপ্রেমের এক স্থায়ী প্রতীক - যা জাতির স্মৃতিতে চিরকাল খোদাই করা আছে।
এর আগে রোববার (১১ মে) এক ব্রিফিংয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে তাদের পাঁচজন সৈন্যকে হারিয়েছে তারা।
পেহেলগামের হামলার পর ভারতের অভিযোগের তীর ছিল পাকিস্তানের দিকে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৭ মে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি স্থানে ‘অপারেশন সিন্দুর’ অভিযান চালায় ভারত। এরপর পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলা, সীমান্তে গোলাগুলি এবং বিমান হামলার ঘটনা ঘটে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় থামে দু’দেশের মধ্যকার সংঘাতময় পরিস্থিতি। সূত্র: জিও নিউজ
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।