
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হত্যা মামরার অন্যতম আসামি নান্নুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) রাত একটার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-১১। বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, র্যাব-১০ রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। আমরা তাদের সহযোগিতা করি। এ বিষয়ে বিস্তারিত র্যাব-১০ থেকে জানানো হবে।
নান্নু ভাইরাল ভিডিওর ইট ও সিমেন্টের ব্লক দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করা চারজনের একজন। এ নিয়ে সোহাগ হত্যার ঘটনায় মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করা হলো। এর আগে, রোববার (১৩ জুলাই) সকালে ঢাকা ও নেত্রকোনা থেকে সজীব ও রাজীব নামে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
আরওপড়ুন<<>>জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি: ড্রোন শো চলচ্চিত্র প্রদর্শনী-কনসার্ট
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে পুরান ঢাকার কয়েক যুবক সোহাগকে বুধবার দুপুরে ডেকে নেয়। সন্ধ্যায় তাকে হত্যা করা হয়। সোহাগ পুরোনো তামার তার ও অ্যালুমিনিয়াম শিটসহ ভাঙারি জিনিসের ব্যবসা করতেন। সোহাগ একসময় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে। তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে সোহানা ষষ্ঠ শ্রেণিতে এবং ১১ বছর বয়সী ছেলে সোহান চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে।
সোহাগকে হত্যার ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) একটি মামলা হয়েছে। নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম মামলাটি করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১৫-২০ জনকে।
উল্লেখ্য, বুধবার (০৯ জুলাই) মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংস এ হত্যার ঘটনা ঘটে। এর আগে তাকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে এবং ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করা হয়। তার শরীরের ওপর উঠে লাফান কেউ কেউ।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।