Apan Desh | আপন দেশ

ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:২১, ১ অক্টোবর ২০২৫

ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন

ইলিয়াস কাঞ্চ

‘নিরাপদ সড়ক চাই’ (নিসচা) আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন গুরুতর অসুস্থ। তিনি ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। দীর্ঘ সাত মাস ধরে তিনি অসুস্থ আছেন। গত ছয় মাস ধরে তিনি লন্ডনে চিকিৎসাধীন আছেন।

বুধবার (০১ অক্টোবর) জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। নিসচা আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস কাঞ্চনের ছেলে মিরাজুল মইন জয় কানাডা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। তিনি এ দুঃসংবাদটি দেশবাসীর অবগতির জন্য জানান। মিরাজুল মইন জয় বর্তমানে নিসচার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করছেন।

তিনি বলেন, আমার বাবা ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। তার চিকিৎসা এখনো চলছে।

মিরাজুল মইন জয় জানান, এ বছরের শুরুতে ইলিয়াস কাঞ্চনের শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দেয়। তিনি কথা বলতে গিয়ে আটকে যেতেন। অনেক কিছু মনে করতে কষ্ট হতো। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ৯ এপ্রিল তাকে ঢাকার ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ণ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার মাথার এমআরআই করা হয়। তার মাথায় একটি টিউমার হয়েছে। টিউমারের কারণেই তার এ সমস্যা হচ্ছিল।

আরও পড়ুন>>>বিসিবি পরিচালক হলেন কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর

গত ১৩ এপ্রিল এ রিপোর্ট নিয়ে তাকে আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সে নেয়া হয়। সেখানকার ডাক্তাররা একটি বোর্ড গঠন করে জানান, তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা ঝুঁকিপূর্ণ (ক্রিটিক্যাল) হবে। কারণ, টিউমারটি ব্রেনের অনেক গভীরে ও গুরুত্বপূর্ণ নার্ভের সংযোগস্থলে আছে।

ডাক্তারদের এ মতামতের পর পারিবারিকভাবে তাকে লন্ডনে নিয়ে চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক, গত ২৬ এপ্রিল তারিখে তিনি লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। লন্ডনে পৌঁছানোর পরের দিন থেকেই তাকে সেখানকার হারলি স্ট্রিট ক্লিনিকে নিউরোসার্জারি ডাক্তারের অধীনে নেয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস ধরে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত ৫ আগস্ট তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। লন্ডনের উইলিংটন হাসপাতালে প্রফেসর ডিমিট্রিয়াসের নেতৃত্বে এ অস্ত্রোপচার হয়।

অস্ত্রোপচারের আগে ডাক্তাররা জানান, পুরো টিউমার অপসারণ করা যাবে না। পুরোটা অপসারণ করলে জীবনহানি বা প্যারালাইজড হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তিনি চলনশক্তি ও কথা বলার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারতেন। ডাক্তারদের পরামর্শে পরিবার টিউমারটির কিছু অংশ অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচারের অনুমতি দেন। বাকি অংশ রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপির মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা হবে। মোট ৩০ দিন এ থেরাপি চলবে। এটি ছয় সপ্তাহ ধরে, সপ্তাহে পাঁচ দিন করে দেয়া হবে। এ মাসেই চিকিৎসার এ ধাপ শুরু হবে। ছয় সপ্তাহ চিকিৎসা চলার পর তিনি আরও চার সপ্তাহ ডাক্তারের পর্যবেক্ষণে থাকবেন। এরপর সেখানকার ডাক্তাররা অনুমতি দিলেই তিনি বাংলাদেশে ফিরতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিরাজুল মইন জয় তার বাবা ইলিয়াস কাঞ্চনের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়