ফাইল ছবি
প্রতিবছরের মতো এবারও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠাবইয়ের অনলাইন সংস্করণ প্রকাশ করতে যাচ্ছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এনসিটিবি।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে এসব পাঠ্যবইয়ের পিডিএফ কপি পাবেন শিক্ষার্থী।
এনসিটিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম আসাদুজ্জামান শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বলেন, শিক্ষার্থীরা বছর শুরুর আগেই এবার নতুন পাঠ্যপুস্তকের অনলাইন সংস্করণ পড়তে পারবে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) থেকে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে (www.nctb.gov.bd) প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বাংলা ও ইংরেজি সংস্করণের ৬৪৭টি পাঠ্যপুস্তকের পিডিএফ কপি পাবেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন<<>>প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে এবার প্রায় ৩০ কোটি বই ছাপা হবে, যার শতভাগই দেশিয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ছাপানোর কাজ চলছে।
গত ১৬ ডিসেম্বর প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৮ কোটি ৫৯ লাখ কপি নতুন বই ছাপার কাজ শেষ হয়েছে।
তবে মাধ্যমিক ও এবতেদায়ী শিক্ষার্থীদের জন্য ২১ কোটি ৪৩ লাখ বই ছাপার কাজ অনেকটাই বাকি রয়েছে। তাই নতুন বছরের প্রথম দিনের মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষার্থীর হাতে সব নতুন বই তুলে দেয়া সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
এস এম আসাদুজ্জামানের ভাষ্য, শিক্ষার্থীদের বই পেতে দেরি হলেও যেন অনলাইন থেকে সংগ্রহ করে পড়া চালিয়ে যেতে পারেন, তা নিশ্চিত করতেই বছর শুরুর আগে এবার অনলাইনে বই প্রকাশ পাচ্ছে।
এনসিটিবি জানিয়েছে, রোববার বেলা ১১টায় এনসিটিবি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে অনলাইন সংস্করণ উদ্বোধন করা হবে। শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
গত বছরের শেষ দিকে এসে শিক্ষাক্রম বাতিল করে পুরনো শিক্ষাক্রমে ফেরা এবং বই পরিমার্জনে সময় লাগায় চলতি বছর মাধ্যমিকের সব বই হাতে পেতে শিক্ষার্থীদের মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল। সে অভিজ্ঞতা থেকে এবার সেপ্টেম্বরে মাধ্যমিকে বই ছাপার কাজ শুরুর করার পরিকল্পনা করে এনসিটিবি।
তবে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি প্রথম দফায় মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বইয়ের দরপত্র প্রক্রিয়া বাতিল করে দেয়ায় মাধ্যমিক পর্যায়ের বই ছাপার কাজ শুরু হতে দুই মাস দেরি হয়। নভেম্বরে শুরু হয় মাধ্যমিক ও এবতেদায়ী পর্যায়ের ২১ কোটি ৪৩ লাখ কপি বই ছাপার কাজ।
এনসিটিবির বিতরণ নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মতিউর রহমান খান পাঠান শুক্রবার রাতে বলেন, এখন পর্যন্ত মোট বইয়ের ৫৫ শতাংশ উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ হয়েছে। আমাদের ৭১ শতাংশ বই ছাপানোর কাজ ইতোমধ্যে শেষ।
আমরা আশা করছি এবতেদায়ী পর্যায়ে সব বই এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণির সবগুলো বই বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দিতে পারব। সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ৭০ শতাংশ বই বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীরা পাবেন। বাকি বই ১৫ জানুয়ারির মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হবে।
আপন দেশ/এসআর
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































