ছবি : আপন দেশ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) নির্বাচনে মেধাভিত্তিক, শিক্ষার্থীবান্ধব নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে ৭ দফা দাবিতে উপাচার্যের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রশাসন ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দেয়া ৭ দফা দাবি হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের ব্যক্তি বা অছাত্র কোনোভাবেই ইকসুর প্রার্থী বা ভোটার হতে পারবে না। মাস্টার্সের ফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীর যোগ্যতা শেষ ঘোষণা করতে হবে। এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা ভোটার কিংবা প্রার্থী হতে পারবে না। শুধু নিয়মিত শিক্ষার্থী অর্থাৎ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীরাই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত এবং প্রার্থী হতে পারবে। প্রার্থীর বয়স, একাডেমিক রেজিস্ট্রেশন, বৈধ শিক্ষার্থী পরিচয়পত্র ও ভর্তি সনদ যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে। নির্বাচনের পূর্বে সব প্রার্থীর ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করতে হবে। বহিরাগত সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হলে তার প্রার্থিতা বাতিল ও সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দিতে হবে। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিংবা ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের প্রার্থী হতে দেয়া যাবে না।
আরও পড়ুন<<>>এবার চাকসু নির্বাচনও পিছিয়ে গেল
শিক্ষার্থীরা বলেন, ইকসু নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য কিছু মৌলিক ধারা গঠনতন্ত্রে সংযোজন করা একান্ত জরুরি। অতীতে দেখা গেছে, অছাত্র, দীর্ঘমেয়াদি এমফিল ও পিএইচডি শিক্ষার্থী এবং বহিরাগতদের সম্পৃক্ততায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতি বিকৃত হয়েছে এবং ক্যাম্পাসের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ইকসু হবে কেবলমাত্র নিয়মিত শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের মঞ্চ।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































