Apan Desh | আপন দেশ

সংশয়ে ঝুলন্ত রাকসু, প্রার্থীতা গ্রহণে ধীরগতি

রাবি প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ২০:২০, ২৫ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ২১:০৪, ২৫ আগস্ট ২০২৫

সংশয়ে ঝুলন্ত রাকসু, প্রার্থীতা গ্রহণে ধীরগতি

ছবি: আপন দেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। মনোনয়ন বিতরণ শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। প্রধান ছাত্রসংগঠনগুলোও এখনো তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেনি। এতে নির্বাচন পেছানোর গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।

রোববার (২৪ আগস্ট) থেকে শুরু হয়েছে রাকসু নির্বাচনের মনোনয়ন বিতরণ। কিন্তু দুই দিন পেরিয়ে গেলেও প্রার্থীদের সাড়া মিলছে না। এখন পর্যন্ত মাত্র ৭টি পদের জন্য ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। বাকি ১৬টি পদে কোনো মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি। হল সংসদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন মাত্র ৬ জন। সাধারণ শিক্ষার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যেও এ নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ কম।

নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না হওয়ার অভিযোগ তুলে কিছুটা নিশ্চুপ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। অ্যাকাডেমিক ভবনে ভোটগ্রহণসহ ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। তাদের অভিযোগ, ছাত্রলীগ নেতাদের নাম খসড়া ভোটার তালিকায় রয়েছে তাদেরকে বাদ দিতে হবে। যদিও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে চূড়ান্ত তালিকায় তাদের নাম বাদ দেয়া হবে। দাবি আদায়ে প্রশাসনেকে ১০ দিনের সময়ও বেঁধে দিয়েছেন তারা। 

আরও পড়ুন>>>রাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী আবদুল বারিক

অন্যদিকে মনোনয়ন পত্র গ্রহণ না করলেও সঠিক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের থেকে প্যানেল ঘোষণার কথা থাকলেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে রাকসু পেছানোর।

সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে ফরম বিতরণ। কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচনে ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে ২ জন, সহযোগী ক্রিয়া সম্পাদক পদে ১ জন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১ জন, নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে ১ জন, কার্যনির্বাহী সদস্য পদে ৩ জন ও সিনেট সদস্য পদে ১ জন মনোনয়ন নিয়েছেন। এ পর্যন্ত ৭টি পদে ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন নিয়েছেন। বাকি ১৬টি পদে এখনো মনোনয়ন নেয়নি কেউ। এছাড়াও হল সংসদে মনোনয়ন নিয়েছেন ৬ জন।

মনোনয়ন সংগ্রহ করে প্রথম সিনেট সদস্য প্রার্থী জাকির হোসেন বলেন, আমি ভোটারদের মাঝে ইশতেহারের বোঝা ঝুলাতে চাই না। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রগতিবাদী কন্ঠস্বর ও প্রশাসনেকে জবাবদিহিতার মধ্যে রাখতে চাই। আমি শিক্ষার্থীদের অধিকার এবং ক্যাম্পাসে সমতা নিশ্চিত করতে চাই। 

নারী প্রার্থী (নারী বিষয়ক সম্পাদক) হিসেবে মনোনয়ন নেয়া নিশা আক্তার বলেন, নারী শিক্ষার্থীদের রাকসু নির্বাচনে আগ্রহী করার উদ্দেশ্যে আমি প্রথম নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি। আমার প্রত্যাশা হলো নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলা, নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, শিক্ষার্থীদের পূর্ণ আবাসিকতার সুযোগ সৃষ্টি করা, হলের ডাইনিংয়ের খাবারের মান উন্নয়ন করা ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আকাঙ্ক্ষা প্রশাসনের কাছে তুলে ধরা।

রাকসুর চিফ রিটার্নিং অফিসার প্রফেসর ড. সেতাউর রহমান বলেন, প্রথম দিনে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ধর্মঘট ও আজকে ছাত্রদলের নির্বাচন পেছানোর দাবি ছিল। যার ফলে দ্বিতীয় দিনেও প্রার্থীরা কম পরিমাণে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। আমাদের কমিশনের বেশ কয়েকজন সদস্য রাজশাহীর বাইরে আছেন, এজন্য আমরা আজ কোনো মিটিং করতে পারিনি। আগামীকাল মিটিং করে আমরা রাকসু পেছানো বা নতুন সিদ্ধান্ত নিবো।

বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. এফ নজরুল ইসলাম জানান, ব্যাংকের কাজসহ নানা কারণে প্রার্থীদের আসতে দেরি হতে পারে। এছাড়া অনেকের মধ্যে একটা সংশয় রয়েছে এজন্য হয়তো তারা আসছে না। সবাই অবজারভ করছে। তবে আমরা আশা করছি যে আগামীকাল সবাই মনোনয়ন তুলবে।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়