Apan Desh | আপন দেশ

টেক্সটাইল খাত রক্ষায় ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম বিটিএমএর

নিজস্ব প্রতিবেদক, আপন দেশ

প্রকাশিত: ১৯:০০, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

টেক্সটাইল খাত রক্ষায় ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম বিটিএমএর

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের সংকটাপন্ন টেক্সটাইল খাত, বিশেষ করে স্পিনিং মিলগুলো বাঁচাতে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের মতে, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে দেশীয় সুতা ও টেক্সটাইল শিল্প বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশান ক্লাবে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে একটা সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত। পরিস্থিতি আর সহনীয় পর্যায়ে নেই।

ভারত থেকে ডাম্পিং মূল্যে সুতা আমদানির অভিযোগও করে শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ভারত বাংলাদেশে স্থানীয় বাজারের তুলনায় প্রায় ৩০ সেন্ট কম দামে ইয়ার্ন রফতানি করছে। এতে দেশীয় শিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। 

আরও পড়ুন<<>>তিন বিলিয়ন ডলার কিনল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

সভায় গ্যাসের দাম নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিটিএমএ সভাপতি। তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে গ্যাসের দাম বাড়লে দেশেও বাড়ানো হয়, কিন্তু দাম কমলে কেন কমানো হয় না? এখন বিশ্ববাজারে গ্যাসের দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে, তাহলে দেশীয় শিল্পের জন্য দাম কমানো হচ্ছে না কেন?

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, অতীতে বাংলাদেশের টেক্সটাইল মিল বন্ধ হয়ে গেলে ভারত তুলা ও ইয়ার্ন রফতানি বন্ধ করেছিল, ভবিষ্যতেও একই ধরনের চাপ তৈরি হতে পারে। এতটা আমদানি-নির্ভর হওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়।

সংকটের গভীরতা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমার পাঁচটি মিলের মধ্যে একটি ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। বাকি মিলগুলোও বন্ধ করার উপায় খুঁজছি। এভাবে চলতে থাকলে হয়তো একদিন টেক্সটাইলবিহীন বিটিএমএ সভাপতিকেই দেখতে হবে।

বিটিএমএ সূত্র জানায়, দেশে বর্তমানে পাঁচশোর বেশি সুতা উৎপাদনকারী মিল রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে উৎপাদন খরচের চেয়েও কম দামে সুতা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন উদ্যোক্তারা। ফলে বেশিরভাগ মিলের আর্থিকভাবে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ বাস্তবতায় নিজেদের সংকট তুলে ধরতেই সভাটির আয়োজন করা হয়, যেখানে টেক্সটাইল খাতের একাধিক উদ্যোক্তা তাদের অভিজ্ঞতা ও উদ্বেগের কথা জানান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিটিএমএ সভাপতি জানান, বর্তমানে স্পিনিং মিলগুলোতে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার সুতা অবিক্রীত অবস্থায় মজুত রয়েছে, যা উদ্যোক্তাদের ওপর বাড়তি আর্থিক চাপ সৃষ্টি করছে।

বিটিএমএ নেতাদের মতে, দ্রুত নীতিগত সহায়তা, জ্বালানি খরচ পুনর্নির্ধারণ এবং ডাম্পিং রোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে দেশের টেক্সটাইল খাত টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।

আপন দেশ/এসআর

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়