
ছবি: আপন দেশ
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি (এফএসআইবি) গত নয় মাসের চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্যেও ১০ লাখ নতুন গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট খুলতে সক্ষম হয়েছে। যার মাধ্যমে ৩ হাজার ৯ শত কোটি টাকা নতুন আমানত সংগ্রহ করেছে। এর মাধ্যমে ব্যাংকটি সাধারণ মানুষ ও গ্রাহকের আস্থা পুনরুদ্ধারে চেষ্টা করে যাচ্ছে। সমতাভিত্তিক বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নারীর ক্ষমতায়ন, এসএমই বিনিয়োগের মাধ্যমে অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন ও জাতীয় স্বার্থরক্ষায় এবং পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে ব্যাংকটি।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, শরীয়াহ'র উদ্দেশ্যের আলোকে আমাদের কৌশল হলো- কল্যাণমূখী অন্তভর্‚ক্তিমূলক ব্যাংকিং, যে এলাকার আমানত সেখানেই বিনিয়োগ, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান এবং উৎপাদনমূখী ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগের অগ্রাধিকার। ইসলামী শরীয়াহ’র অন্যতম মূলনীতি হচ্ছে, সম্পদের ন্যায়ভিত্তিক বন্টন ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা।
এ সম্পর্কে ব্যাংকের চেয়ারম্যান আরও বলেন, ক্ষুদ্র আমানতকারী, এসএমই বিনিয়োগ, উদ্দ্যোক্তা তৈরি, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসনকে ভিত্তি করেই ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক খুব দ্রæত স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রমে ফিরে আসবে। আমানত সংগ্রহের জন্য ব্যাংকটি বড় করপোরেট ডিপোজিটরদের পাশাপাশি ক্ষুদ্র আমানতকারীদের ওপর গুরুত্ব আরোপ করছে।
আরওপড়ুন<<>>‘জুনে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের নিচে নেমে আসবে’
মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, আমানত নির্ভর না হয়ে ব্যাংকের ব্যবসা নির্ভর হওয়া উচিত। এ কারণেই আমরা ক্ষুদ্র আমানতকারী, ক্ষুদ্র বিনিয়োগ গ্রহীতা এবং বিনিয়োগ বিকেন্দ্রীকরণে মনোনিবেশ করছি। যাতে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নকে স্থিতিশীল করা যায়। দায়িত্ব গ্রহণের পর ব্যাংকের নতুন বোর্ড রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রেমিট্যান্স এজেন্সির সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্যাংকটি।
খেলাপী ও মন্দ বিনিয়োগ আদায়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ইচ্ছাকৃত খেলাপী বিনিয়োগ গ্রহীতাদের থেকে অর্থ উদ্ধার করতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি তাদের স্থাপনায় ব্যানার, ফেস্টুন টাঙানোসহ সামাজিক চাপ বৃদ্ধির কৌশলও প্রয়োগ করছে কর্তৃপক্ষ। উন্নত গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ইতোমধ্যে সকল কর্মকর্তার মূল্যায়ন ও অধিকাংশ কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা হয়েছে।
সার্বিকভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, এসএমই উদ্দ্যোক্তাদের সহায়তা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে ব্যাংকটির সকল কার্যক্রম নতুনভাবে ঢেলে সাজানো হয়েছে। ইসলামী শরীয়াহ’র আলোকে সাধারণ মানুষের কল্যাণ সাধনের মাধ্যমে অন্তভর্‚ক্তিমূলক অর্থনীতি বিনির্মাণের প্রত্যয়ে কাজ করছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।