Apan Desh | আপন দেশ

দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৫.২৩ বিলিয়ন ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৪৬, ১৪ মার্চ ২০২৪

দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৫.২৩ বিলিয়ন ডলার

ছবি: সংগৃহীত

আবারও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। এতে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলারে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৯ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলারে। 

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। 

এতে বলা হয়, গত ১ সপ্তাহে সোয়াপ পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে ডলার জমা দিয়ে টাকা নিয়েছে কিছু বাণিজ্যিক ব্যাংক। সেই সঙ্গে রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং রফতানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে আমদানিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। তাতে বেড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

আরও পড়ুন>> ঋণ খেলাপিদের ওপর স্যাংশন

আগের সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে ১২৯ কোটি ডলার আমদানি দায় পরিশোধ করা হয়েছিল। যে কারণে দেশের নিট সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ কমেছিল। আকুর বিল শোধের পর আইএমএফফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে, গ্রস রিজার্ভ হ্রাস পেয়ে স্থির হয় ২৫ বিলিয়ন ডলারে।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি টাকার সঙ্গে ডলার অদলবদল ব্যবস্থা চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে ডলার-টাকা পাল্টাপাল্টি করতে পারছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। সর্বনিম্ন ৭ থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের জন্য এ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। এ নিয়মের আওতায় সর্বনিম্ন ৫০ লাখ ডলার বা সমপরিমাণ টাকা অদলবদল করা যাচ্ছে।

এ পদ্ধতি চালুর পর বাংলাদেশ ব্যাংকে কোটি কোটি ডলার জমা দেয় তফসিলি ব্যাংকগুলো। পরিপ্রেক্ষিতে রিজার্ভ বাড়তে থাকে। গত ৬ মার্চ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবায়নের যা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে দাঁড়ায় ২৬ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারে। আর আইএমএফের হিসাবে তা হয় ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার। 

১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন ছিল ২৫ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় যা স্থির হয় ১৯ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলারে।

এছাড়া দেশের আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণকারী সর্বোচ্চ সংস্থার নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। এটি শুধু আইএমএফকে দেয়া হয়, প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই মেথডে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। এ দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

মূলত, প্রতি মাসে পণ্য কেনা বাবদ প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। সাধারণত, একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ বর্তমানে শেষ প্রান্তে রয়েছে।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়