ছবি: আপন দেশ
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন ও দুর্গম দ্বীপাঞ্চল ঢালচরবাসীর দীর্ঘদিনের যাতায়াত কষ্টের অবসান হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক স্থাপিত এ উপজেলার দক্ষিণ প্রান্তের ‘ঢালচর (আনন্দ বাজার) লঞ্চঘাট’ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। এদিন বিকেলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনার কাছাকাছি অবস্থিত এ জনপদটি কার্যত বাংলাদেশের শেষ সীমানার একটি অঞ্চল। ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতার কারণে এখানকার মানুষ যুগের পর যুগ নিরাপদ নৌ-যোগাযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। প্রতিকূল আবহাওয়া ও জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াতই ছিল তাদের একমাত্র ভরসা।
আরও পড়ুন<<>>ভোলায় টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ঢালচর তথা আনন্দবাজারের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ও বঞ্চিত ছিল। আজ এ লঞ্চঘাট উদ্বোধনের মাধ্যমে তাদের দীর্ঘ কষ্টের অবসান হলো। এটি শুধু একটি অবকাঠামো নয়, বরং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ যাতায়াত ও উন্নয়নের একটি সেতুবন্ধন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, এ অঞ্চলের মানুষ চিকিৎসা, শিক্ষা ও প্রশাসনিক সেবার ক্ষেত্রে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হতো। নতুন লঞ্চঘাট চালু হওয়ায় এসব সেবা গ্রহণ যেমন সহজ হবে, তেমনি স্থানীয় মৎস্য আহরণসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি আসবে। বর্তমান সরকার দুর্গম দ্বীপাঞ্চলের মানুষকে মূলধারার উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে নৌ-অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল আরিফ আহমেদ মোস্তফা, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন এ লঞ্চঘাটটি চালুর ফলে ঢালচরের কয়েক হাজার মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ও পণ্য পরিবহনে আমূল পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আপন দেশ/এসআর
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































