Apan Desh | আপন দেশ

পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ, জনজীবনে বিপর্যয়

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৯:০৬, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫

আপডেট: ০৯:০৭, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫

পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ, জনজীবনে বিপর্যয়

ছবি : আপন দেশ

অগ্রহায়ণের শেষ সপ্তাহেই যেন পৌষের কনকনে শীত অনুভ‚ত হচ্ছে। আর দিন দিন এর তীব্রতাও বেড়ে চলেছে। ফলে একরকম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। হিমালয় পাদদেশে অবস্থিত জেলার তেঁতুলিয়ায় গেল কয়েক দিন ধরেই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। 

ঘন কুয়াশার আর কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। এতে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। 

সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, পঞ্চগড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার (০৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ছিল ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে টানা দুইদিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে জবুথবু হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের মানুষ। সন্ধ্যার পর থেকেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। সন্ধ্যার পরে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। মাঠে কৃষিকাজ প্রায় হচ্ছেই না। কনকনে শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে অনেকেই বাড়ির আঙিনা ও ফুটপাতসহ চায়ের দোকানের চুলায় বসে আগুন পোহাচ্ছেন।

আরও পড়ুন<<>>উত্তরে তাপমাত্রা নামলো ১০ ডিগ্রিতে

এছাড়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। একটানা শীতের কারণে মানুষ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন। এ সময়ে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। সব সময় গরম কাপড় পরতে হবে। গরম খাবার খেতে হবে। শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।

শহরের রৌশনাবাগ এলাকার শ্রমিক আল আমিন বলেন, সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে শীত শুরু হয়। কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকে। সকালে কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। তীব্র ঠান্ডায় হাত একদম বরফ হয়ে যাচ্ছে। কাজ না করতে পারলে কি খাব? তাই পরিবারের কথা ভেবে কাজ করতে হবে।

ভ্যানচালক আকবর আলী বলেন, সকালে ভ্যান নিয়ে বরে হওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। উত্তরে কনকনে হিমেল বাতাসের কারণে খুব শীত লাগছে। ভ্যান চালানো যাচ্ছে না।

তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, সোমবার সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাণ ৯৯ শতাংশ। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় মৃদু শৈত্য প্রবাহে কনকনে শীত অব্যাহত রয়েছে। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও পারে।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়