Apan Desh | আপন দেশ

উত্তরে তাপমাত্রা নামলো ১০ ডিগ্রিতে

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০:৫৪, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫

উত্তরে তাপমাত্রা নামলো ১০ ডিগ্রিতে

ছবি : আপন দেশ

অগ্রহায়ণের শেষ সপ্তাহেই যেন পৌষের কনকনে শীত অনুভত হচ্ছে। আর দিন দিন এর তীব্রতাও বেড়ে চলেছে। হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বায়ু ও ঘনকুয়াশায় জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। 

গত কয়েকদিন ধরে দেশের অন্য সব অঞ্চলের তুলনায় এখানকার তাপমাত্রা দ্রুত নিচে নামছে। নামতে নামতে তাপমাত্রা এসেছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। 

রোববার (০৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে এই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। শনিবার (০৬ ডিসেম্বর) এখানে একই সময় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১০ ডিগ্রি দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের ঘরে নেমেছে। কারণ হিসেবে বলেন, তাপমাত্রার পারদ ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকলে সেটিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। ডিসেম্বরেই তাপমাত্রা আরো কমে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন<<>>তীব্র শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম

এদিকে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা দেখা যায়। এতে সকালে কাজে বের হওয়া শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ভুগছেন। অনেকেই গায়ে অতিরিক্ত কাপড় জড়িয়েও কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শিশু, বয়স্ক ও রোগীদের ওপর এর প্রভাব বেশি পড়ছে। দরিদ্র পরিবারগুলো শীতবস্ত্রের সংকটে রয়েছে।

জেলা প্রশাসক কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, শীতে জেলা প্রশাসনের বড় কাজ হলো শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানো। জেলা প্রশাসন এ কাজটি নিয়মিত করে যাচ্ছে। এবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর থেকে এ জেলায় ৩০ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। ৮ হাজার ৬৪০টি কম্বল কিনে পাঁচ উপজেলার ৪৩ ইউনিয়নের বিতরণ করা হয়েছে। আরো ৬৫ হাজার কম্বলের চাহিদাপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এ জেলায় বহু এনজিও কম্বল বিতরণ করে। তাদের বলেছি সংখ্যায় বেশি নয়, কম দিন। তারপরও মানসম্মত কম্বল দেবেন। জার্মানভিত্তিক একটা এনজিও আমার কথা রেখেছে। তারা মানসম্মত কম্বল কিনেছে। প্রতিটি কম্বলের দাম পড়েছে ১৪শ টাকা। সঙ্গে চাদরটাও দামি।

তিনি বলেন, যে সকল এনজিও পঞ্চগড়ে কম্বল বিতরণ করতে চান দয়া করে সংখ্যায় কম হলেও মানসম্মত দামি কম্বল দেবেন। যে কম্বলে পা ঢাকলে মাথা খোলা থাকে তা দিয়ে লাভ নেই। প্রতিবছর একজনকে কম্বল দেয়াও ঠিক না। তাকে নির্ভরশীল করার দরকার নেই। দেশের সবচেয়ে বেশি শীতল জেলায় যারা গরম কাপড় দিতে আসতে চান। আমাকে জানাবেন। আমি আপনাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করবো। তবে বিষয় একটাই। প্লিজ মানসম্মত দামি কম্বল দিন। একটা মানসম্মত কম্বল পেলে একটা পরিবার সারাজীবন ব্যবহার করতে পারবে।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়