ছবি : আপন দেশ
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে শীতের তীব্রতা অব্যাহত রয়েছে। ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে নাকাল হয়ে পড়েছে জেলার জনজীবন। বেশি বিপাকে পড়েছেন বৃদ্ধ, শিশু ও দিনমজুররা। শীতের কারণে অনেক দিনমজুরের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। ঠিক মতো কাজে যেতে না পারায় আর্থিক কষ্টে দিন কাটছে তাদের।
রোববার (০৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রাও বাড়ছে। তবে আবহাওয়ার এ পরিবর্তনে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি শিশু ও বৃদ্ধরা।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের ঘোড়া গাড়িচালক মো. জলিল মিয়া (৬০) বলেন, ঠান্ডা দিন দিন বাড়ছে। বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে গাড়ি চালাইতে খুব কষ্ট হচ্ছে। হাত-পা বরফ হয়ে আসে।
আরও পড়ুন<<>>নোয়াখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় তরুণের হাত বিচ্ছিন্ন
পাঁচগাছ ইউনিয়নের কৃষিশ্রমিক আব্দুল কাদের (৫৫) বলেন, এখন আমন ধানের কাজের মৌসুম। কিন্তু সকালে খুব ঠান্ডা থাকে তাই ঘর থেকে বের হওয়া খুবই কঠিন হয়। আবার কাজ না করলে তো সংসার চলবে না। তাই কাজ করার জন্য বের হইছি।
কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ঠান্ডার কারণে সর্দি-কাশি, ফ্লু (ইনফ্লুয়েঞ্জা), ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা বা হাঁপানি, এবং হুপিং কাশি হতে পারে। সব সময় গরম কাপড় পরিধান করা। ঘর থেকে বের না হওয়া। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা এ রোগে আক্রান্ত বেশি হয়।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ (রোববার) জেলায় সবনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। কুয়াশা পড়ার সঙ্গে দিন দিন তাপমাত্রা কমে শীতের তিব্রতা আরও বাড়বে এ জেলায়।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































