
সংগৃহীত ছবি
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়িতে গহীন জঙ্গলে সেনা অভিযান চালানো হয়েছে। এ অভিযানে ইউপিডিএফ’র ( ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) একটি আস্তানার খোঁজ মেলে। সেখান থেকে অস্ত্র, গুলি ও নানা রকম সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (০৬ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে এ অভিযান শুরু হয়। এটি পরিচালিত হয় পানছড়ি উপজেলার যুবনেশ্বর পাড়ায়। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি দল সেখানে যায়। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছিল। এ তথ্যের ভিত্তিতেই পানছড়ির যুবনেশ্বর পাড়ার গভীর জঙ্গলে অভিযান চলে। সেনাবাহিনীর একটি দল ইউপিডিএফ-এর গোপন আস্তানাটি ঘেরাও করে। এরপর সেখানে তল্লাশি শুরু হয়। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ইউপিডিএফ-এর গ্রুপ কমান্ডার সুমেন চাকমা পালিয়ে যায়। তাকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন>>>ভারতের মদদে পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের নৈরাজ্য
পরবর্তীতে তল্লাশি চালিয়ে ইউপিডিএফ সশস্ত্র সদস্যদের ব্যবহৃত ১টি পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন, ২ রাউন্ড এ্যামোনিশন, ১৫টি ব্যানার, ২টি ওয়াকিটকি চার্জার, ২টি মোবাইল ফোন, ধারালো অস্ত্র ও বেশ কিছু সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, অভিযান চলাকালে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম ব্যাহত করতে ইউপিডিএফ স্থানীয় নারী-পুরুষ, ছাত্র ও ছাত্রীদের সেনা বিরোধী স্লোগান দিতে বাধ্য করে। আজকের ঘটনাসহ বিগত কয়েকদিনের ঘটনা প্রবাহ পর্যবেক্ষণে এটি স্পষ্ট যে, ইউপিডিএফ ও তার অঙ্গসংগঠন সমূহ পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সুপরিকল্পিতভাবে এলাকার নারী এবং স্কুলগামী কোমলমতি শিশুদের বিভিন্ন পন্থায় তাদের নাশকতামূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণে বাধ্য করছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে পালিয়ে যাওয়া ইউপিডিএফ এর সশস্ত্র সদস্যদের সন্ধানে সেনা অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও এ অঞ্চলের সকল জাতিগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।