Apan Desh | আপন দেশ

সমাবেশে যোগ দিতে এসে নিহত ৬, এলাকায় শোকের মাতম

যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:৫০, ২৮ জুন ২০২৫

আপডেট: ২০:৫৯, ২৮ জুন ২০২৫

সমাবেশে যোগ দিতে এসে নিহত ৬, এলাকায় শোকের মাতম

ছবি: আপন দেশ

ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে সড়ক দুঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জনের বাড়ি যশোরের নওয়াপাড়ায়। এ ঘটনায় নিহতদের স্বজনসহ শোকে স্তব্ধ পুরো এলাকা।

শনিবার (২৮ জুন) ভোররাতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, নওয়াপাড়া ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে মুজাহিদ জিল্লুর রহমান (৬৫), সংগঠনের ইউনিয়ন সভাপতি ও ঘুরুলিয়া গ্রামের ডাক্তার আব্দুল জলিল (৬৫), একই গ্রামের ডাক্তার আব্দুল হালিম (৫৫), যশোরের মধুগ্রামের মাও. মোস্তফা (৩৪) , মুফতি আব্দুর রহমান (৫২) ও মুফতি আবু বকর (৪৩)। আহতরা হলেন, মধুগ্রামের আব্দুল জব্বার, ইশারত আলী, আড়পাড়া গ্রামের মাওলানা মোক্তার আলী, ঘুরুলিয়া গ্রামের বরকত হোসেন, কেরামত আলী, পাগলাদহ গ্রামের লিয়াকত  আলী, সেলিম হোসেনসহ ১০-১২ জন।

জানা যায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চরমোনায় পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশে যোগ দিতে দলের নেতাকর্মীরা শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে হামদান এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি বাসে যশোর থেকে রওনা হন। যাত্রাপথে শনিবার ভোররাতে বাসটি ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরে একটি ট্রাককে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়।

আরওপড়ুন<<>>স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বজনদের দাবি ধর্ষণের পর হত্যা

এ সময় দূর্ঘটনায় সংগঠনের নওয়াপাড়া ইউনিয়ন সভাপতিসহ ৭ জন নিহত হয়। যাদের ৬ জনের বাড়ি এ ইউনিয়নের আড়পাড়া, মধুগ্রাম ও ঘুরলিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় আহত আরও ১০-১২ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিসাধীন আছেন। এদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, যশোর থেকে ঢাকাগামী হামদান এক্সপ্রেস পরিবহনের নাইটকোচটি একটি ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা মারে। সংঘর্ষের পর উভয় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের সড়ক দ্বীপের রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে রাস্তার ওপর আছড়ে পড়ে।

তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলেই বাসের ৪ যাত্রী মারা যান। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান আরও ৩ জন। যাদের মধ্যে ৬ জনের বাড়ি যশোরে ও ১ জনের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। দুর্ঘটনার পরপরই বাস ও ট্রাক চালক পালিয়ে যায়।

এদিকে শনিবার দূর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহত ও আহতদের বাড়িতে নেমে আসে শোকের ছায়া। সরেজমিনে ঘুরুলিয়া, আড়পাড়া ও মধুগ্রামে গিয়ে চোখে পড়ে শোকের পরিবেশ। স্বজনহারাদের বুকফাঁটা আর্তনাদে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দিতে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছুটে যান তাদের বাড়িতে।

আপন দেশ/এমএইচ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়