প্রতীকী ছবি
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে স্বজনদের দাবি, ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়।
শুক্রবার (২৭ জুন) গভীর রাতে উপজেলার ২নং মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের ঘটকের আন্দুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর ধরে উপজেলার ঘটকের আন্দুয়া গ্রামে ওই শিক্ষার্থী তার দাদি রোকেয়া বেগমের সঙ্গে বসবাস করছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় মেয়েটিকে তার দাদি বাসায় একা রেখে পান খাওয়ার জন্য অন্য বাসায় চলে যান। কয়েক ঘণ্টা পর দাদি বাসায় ফিরে ফ্যানের সঙ্গে নাতনির ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
আরওপড়ুন<<>>টিকটক নিয়ে দ্বন্দ্ব: শিশুর হাতে শিশু খুন
নিহত ছাত্রীর খালা উপমা পারভিন খাদিজা বলেন, আমার বোনের মেয়ে আত্মহত্যা করেনি, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। বেশ কয়েকমাস ধরে ফুফাতো ভাই সাকিল ও সাজিত বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করে আসছিলো তার ভাগ্নিকে। একদিন সে গোসল করতে গেলে ওর ফুফাতো ভাইয়েরা গোপনে তা ভিডিও করে। পরবর্তীতে ওই ভিডিও দেখিয়ে মেয়েটিকে তারা যৌন হয়রানি করে। এছাড়া বাড়ির সামনে থাকা শামীম নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে ওই ছাত্রীর পড়াশোনার বিষয়ে বোঝাতে চাইলে সেও মেয়েটিকে যৌন হয়রানি করেন বলে জানান তার খালা।
তিনি আরও বলেন, আমার ভাগ্নি বিভিন্ন সময় ফোন দিয়ে তার ফুফাতো ভাইদের বিষয়ে বিভিন্ন কথা বলতো। তার দাদির কথাও বলতো আর কান্না করতো।
মামাতো ভাই আশিকুল ইসলাম সিয়াম বলেন, শুক্রবার রাত ২টার দিকে ওই শিক্ষার্থীর দাদি ফোন দিয়ে নাতনির ফাঁস দেয়ার কথা জানান। কিন্তু ঘটনা ঘটে রাত ১০টার দিকে। আর এটি কোনোভাবেই আত্মহত্যা হতে পারে না। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।
তবে এ বিষয়ে তার দাদি রোকেয়া বেগমকে একাধিক বার কল দিলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মো. শামীম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা সে বিষয়ে এখনি বলা যাচ্ছে না। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
