সিলেটে চার ভাইসহ ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড

সিলেটের ওসমানীনগরের জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে শেখ মাসুক মিয়া হত্যা মামলায় চার ভাইসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৬ মে) সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় দেন। নিহত মাসুক মিয়া ওসমানীনগর উপজেলার ফতেহপুর গুপ্তপাড়া গ্রামের মৃত শেখ মদরিছ আলীর ছেলে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন, ফতেহপুর গুপ্তপাড়া গ্রামের নিহতের ভাই শেখ আলফু মিয়া (৪১), তার সহোদর শেখ পংকী মিয়া (৪৩), শেখ তোতা মিয়া (৫৭), শেখ আব্দুর রব ওরফে লেবু মিয়া (৬৩), পংকীর স্ত্রী লাভলী বেগম, আব্দুর রউফের স্ত্রী শেখ আনোয়ারা বেগম ওরফে এশাই (৪৮), একই এলাকার মৃত আখলাছ আলীর ছেলে ফখর উদ্দিন ওরফে অহর (৪৬) এবং গ্রামতলা দাসপাড়ার হাজি আলা উদ্দিনের ছেলে হেলাল উদ্দিন ওরফে দিপু মিয়া (৪৩)। তাদের মধ্যে দিপু মিয়া পলাতক রয়েছেন।

আরওপড়ুন<<>>কালীগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণ

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি আল আসলাম মুমিন জানান, বিদেশ থাকতে ভাইদের কাছে টাকা পাঠাতেন শেখ মাসুক মিয়া। কিন্তু সেই টাকা দিয়ে নিজেদের নামে জমি কেনেন ভাইয়েরা। দেশে ফিরে মাসুক মিয়া সেই জমি নিজের নামে লিখে দিতে বলেন। এ নিয়ে ভাইদের মধ্যে বিরোধের জের পরিকল্পিতভাবে দুই ভাবি ও চার ভাই মিলে মাসুক মিয়াকে হত্যা করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৩ জুন বিকেলে বাড়ি থেকে গোয়ালাবাজার যাওয়ার জন্য বের হন মাসুক মিয়া। সন্ধ্যায় বাড়ি না ফেরায় মোবাইল ফোনে তার স্ত্রী কল করেন। প্রথমে কল ঢুকলেও পরে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরের দিন ১৪ জুন ওসমানীনগরের দাসপাড়া গফুর মিয়ার বাড়ির পাশে ধানক্ষেতে মাসুক মিয়ার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। মরদেহ শনাক্তে এলাকায় মাইকিং করা হয়।

খবর পেয়ে নিহতের ভাই আলফু ও শেখ তোতা ঘটনাস্থলে গিয়ে মাসুকের মরদেহ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় আলফু মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয়ে থানায় মামলা করেন। কিন্তু মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ওসমানীনগর থানার তৎকালীন পরিদর্শক এসএম মাঈন উদ্দিন হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নিহতের ভাই আলফু, পংকী ও তোতাকে আটক করেন।

পরে থানার এসআই মমিনুল বাদী হয়ে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।

আপন দেশ/এমএইচ