ফারুক-হাথুরুসিংহ
দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র ৯ মাসের মাথায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়েছে ফারুক আহমেদকে। বোর্ডের ৮ পরিচালকের অনাস্থায় বিসিবি প্রধানের পদ থেকে অপসারণ করা হয় তাকে। ইতোমধ্যে ফারুকের জায়গায় বিসিবির নতুন সভাপতি হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
এদিকে, বিসিবির সভাপতির পদ থেকে ফারুক আহমেদের দায়িত্ব হারানোর পর মুখ খুলেছেন বাংলাদেশের সাবেক কোচ হাথুরুসিংহে। ফারুকের বিদায় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন তিনি।
নিজের লিংকডইন প্রোফাইলে হাথুরুসিংহে লিখেছেন, আমি সাধারণত আমার কাজকেই আমার পক্ষে কথা বলতে দেই। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার কারণে আবারও আলোচনায় এসেছি।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিসিবি সভাপতির অপসারণের একটি কারণ ছিল আমাকে বরখাস্ত করার পদ্ধতি। বোর্ডের সঙ্গে যথাযথ পরামর্শ ছাড়াই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। মাঠে এবং মাঠের বাইরে স্বচ্ছতা, প্রক্রিয়া ও সম্মান সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ, যোগ করেন হাথুরু।
আরওপড়ুন<<>>শক্তিশালী ইন্দোনেশিয়াকে হারাতে চান আফঈদারা
টাইগারদের সাবেক এ কোচকে বাদ দেয়ার সময় তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ ছিল, ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলাকালে হাথুরু ড্রেসিংরুমে এক ক্রিকেটারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। তবে এমন অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন তিনি । এমনকি বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচের দায়িত্বে থাকা নিক পোথাসও এ ব্যাপারটি অস্বীকার করেন।
আগেই ক্রিকবাজকে হাথুরু বলেছিলেন, বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনের শেষ কথা ছিল- তোমার চলে যাওয়া উচিত। বোর্ডের কাউকে বলার দরকার নেই, তোমার কি টিকিট আছে? এটি আমার জন্য একটি সতর্কবার্তা ছিল। তখনই আমি একটু ভয় পেয়ে যাই। বিমানবন্দরে একজন কর্মকর্তা আমাকে বলেন, আমি দুঃখিত কোচ, আপনাকে যেতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ফারুককে যেসব কারণে অপসারণ করা হয়েছে তার মধ্যে একটি, সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহকে চাকরিচুত্য করা। তবে এ সিদ্ধান্ত বোর্ডের অন্য পরিচালকদের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়াই নেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
