
ফাইল ছবি
প্রতি বছর আরবী মাসের ১১ রবিউস সানি ফাতেহা ই ইয়াজদহম পালন করা হয়। সে অনুযায়ী শনিবার (০৪ অক্টোবর) সারা দেশে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে দিবসটি পালিত হবে। গাউসুল আযম বড় পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানি (র.)-এর ওফাত দিবস বিশ্বের মুসলমানদের কাছে ‘ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম’ নামে পরিচিত।
হিজরি ৫৬১ সালের এ দিন বিখ্যাত ইসলাম প্রচারক ও সাধক হজরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.) মৃত্যুবরণ করেন। মূলত, তার মৃত্যুর দিনটিকেই ‘ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম’ হিসেবে পালন করা হয়।
‘ইয়াজদাহম’ ফারসি শব্দ। এর অর্থ এগারো। ‘ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম’ বলতে রবিউস সানি মাসের ১১তম দিনকে বোঝায়। এটি আবদুল কাদের জিলানী (রহ.)-এর স্মরণে পালিত হয়।
আরও পড়ুন<<>>ফাতেহা ই ইয়াজদহম কী? কেন পালন করা হয়?
তিনি ইরানের জিলান নগরীতে ৪৭০ হিজরিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন সৈয়দ আবু সালেহ এবং মাতা ছিলেন বিবি ফাতেমা। তিনি বাগদাদের মহান পীর হজরত আবু সাঈদ ইবনে আলী ইবনে হুসাইন মাখরুমির (রহ.) কাছে মারেফাতের জ্ঞানে পূর্ণতা লাভ করেন এবং খেলাফত প্রাপ্ত হন।
হজরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.)-এর অবদান মুসলিম বিশ্বে অনন্য। তিনি মুসলিম সমাজে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।
ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম উপলক্ষে তার জন্য দোয়া-মোনাজাত করা হয় এবং তার জীবনী আলোচনা করা হয়। এ দিনটি মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে বিবেচিত হয়।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।