Apan Desh | আপন দেশ

মুহাম্মদ (সা.) মানবতার মুক্তির দিশারি: তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:২০, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মুহাম্মদ (সা.) মানবতার মুক্তির দিশারি: তারেক রহমান

তারেক রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পৃথিবীতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমনের মাধ্যমে মানবজাতি নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভ করে। জগতের সব অন্যায়-অবিচার, কুসংস্কার, নিপীড়ন-নির্যাতন ও বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিষ্কৃতি লাভের সন্ধান পায়। সে জন্যই তিনি হয়েছেন মানবতার মুক্তির দিশারি।

বৃহস্পতিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
 
বাণীতে তিনি বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী—এ দিনটি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দুনিয়াতে আগমনের আনন্দ ও তার জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়। যিনি মানবজাতিকে পরিশোধন করেন। তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কুরআন ও কাজের কথা শিক্ষা দেন। পৃথিবীতে সৃষ্টির সেরা মানব বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমন দিবস মর্যাদাবান, গুরুত্ববহ ও আনন্দের। আল্লাহর প্রতি ঈমান ও মানবতার পথপ্রদর্শনকারী মহানবীর ধরাপৃষ্ঠে আবির্ভাবের দিন আজ।

আরও পড়ুন>>>‘তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে সহায়তা করবে সরকার’

তিনি সারা বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ, আমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সব থেকে বড় উপহার বা এহসান। আল্লাহ তাআলা তাকে দিয়েছেন মহিমান্বিত মর্যাদা। পৃথিবীতে মানুষ ইহজগৎ ও পরজগতের মুক্তির সন্ধান পায় এই দিনে। হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাব ছিল একটি আলোকিত বিস্ময়।

তারেক রহমান বলেন, মানুষ ন্যায় ও সৎপথে চলার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত লাভ করে রাসুল (সা.)-এর দেখানো পথে। নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈর্য, সৃৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ-যন্ত্রণা ভোগ করে তিনি তার ওপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের বাণী তথা তাওহিদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন। অন্ধকারের যুগ তথা আইয়ামে জাহেলিয়াতের আমলে আইন, বিচার, প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যভিচার-অনাচারের অরাজকতা বিরাজমান ছিল। এ সময় যার আগমন হয়েছিল তিনি হলেন রহমাতুল্লিল আলামিন।

তিনি আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দূরীভূত করে ইসলাম কায়েমের মাধ্যমে সত্য, ন্যায়বিচার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।

সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও দুঃখী মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পরমতসহিষ্ণুতা, দয়া ও ক্ষমা গুণ, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.)-এর আদর্শ অতুলনীয় এবং তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে স্বীকৃত। আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি।

এদিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বাণী দিয়েছেন। তিনি বলেন, আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী, বিশ্বজগতের এক সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের আবির্ভাবের দিন। এই শিশুর শুভাগমন সারা দুনিয়াকে নাড়া দেয়। এ দিনটি নবীজির জীবনে মূল্যবোধ, যেমন সততা, নম্রতা, উদারতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো ও তার দেখানো পথে চলার অনুপ্রেরণা লাভের এক মহিমান্বিত মুহূর্ত। ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি। তাদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়