Apan Desh | আপন দেশ

‘আগামীর বাংলাদেশ জুলাই সনদের ভিত্তিতে গড়ে উঠবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক 

প্রকাশিত: ১০:৪৩, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১২:২৬, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

‘আগামীর বাংলাদেশ জুলাই সনদের ভিত্তিতে গড়ে উঠবে’

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। ছবি : আপন দেশ

আগামীর বাংলাদেশ জুলাই সনদের ভিত্তিতে গড়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ মেধাবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা জানান।

ফারুক-ই-আজম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করবে। আগামীর বাংলাদেশ গড়ে উঠবে জুলাই সনদের ভিত্তিতে।’

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘অভ্যুত্থানকালে স্থাপনা যেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা সংস্কার করা হবে।’

এদিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।  

রোববার সকাল ৭টার দিকে প্রথমে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এসময় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার অংশ হিসেবে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

এরপর সকাল সোয়া ৭টার কিছু পরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সালাম জানান সশস্ত্র বাহিনীর চৌকস দল। 

এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধা, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
 
এরপর একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ। 

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাত্র দু’দিন আগে, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে ঘাতক চক্র কেবল ঢাকা শহরেই প্রায় দেড়শ’ বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন পেশার কৃতী মানুষকে চোখ বেঁধে নিয়ে যায় অজ্ঞাতনামা স্থানে। সান্ধ্য আইনের মধ্যে সেই রাতে তালিকা ধরে ধরে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিল্পী-সাহিত্যিক, সংস্কৃতিসেবী ও পদস্থ’ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের ঘর থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হত্যা করে ফেলে রাখা হয় নিস্তব্ধ ভুতুড়ে অন্ধকারে।

আরও পড়ুন : আরও হত্যাকাণ্ডের আশঙ্কা করছেন মির্জা ফখরুল

পরদিন সকালে ঢাকার মিরপুরের ডোবা-নালা ও রায়েরবাজার ইটখোলাতে বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায় অনেক নিথর দেহ। কারও শরীর বুলেটবিদ্ধ, কারও অমানুষিক নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত। হাত পেছনে বেঁধে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয় অনেককে। 

প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর শোকের আবহে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়ে থাকে। দেশের সর্বত্র জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। ওড়ে শোকের প্রতীক কালো পতাকা।

আপন দেশ/এনএম

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়