Apan Desh | আপন দেশ

বিজয় দিবসে পতাকাসহ ঝাঁপ দেবেন ৫৪ প্যারাট্রুপার

নিজস্ব প্রতিবেদক 

প্রকাশিত: ২২:২১, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫

বিজয় দিবসে পতাকাসহ ঝাঁপ দেবেন ৫৪ প্যারাট্রুপার

ছবি: আপন দেশ

যথাযথ মর্যাদায় আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে ব্যাপক আকারে নানা কর্মসূচির প্রস্তুতি চলছে। এর অংশ হিসেবে পতাকাসহ সর্বাধিক প্যারাস্যুটিং করে বিশ্বরেকর্ড গড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ।

স্বাধীনতার ৫৪ বছর উদ্‌যাপনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার পতাকা নিয়ে আকাশ থেকে ঝাঁপ দেবেন। এটি হবে বিশ্বের বুকে সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং, যা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়বে।

সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্‌যাপন উপলক্ষে আজ বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে এক সভা হয়। 

আরও পড়ুন<<>>মুক্তিযোদ্ধা হত্যার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজউদ্দিন মিয়া, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ব্যাপক আকারে বিশেষ বিশেষ কর্মসূচির প্রস্তুতির বিষয়ে আলোচনা করেন।

বিজয় দিবসের দিন বেলা ১১টা থেকে ঢাকার তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী পৃথকভাবে ফ্লাইপাস্ট মহড়া পরিচালনা করবে। চলবে বিজয় দিবসের বিশেষ ব্যান্ড-শো। বেলা ১১টা ৪০ মিনিট থেকে ‘টিম বাংলাদেশ’র ৫৪ জন প্যারাট্রুপার পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং করবেন। জনসাধারণের জন্য এ বিশেষ আয়োজন উন্মুক্ত থাকবে।

দেশের অন্যান্য শহরেও সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী ফ্লাইপাস্ট মহড়া পরিচালনা করবে। সারাদেশে সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনী ব্যান্ড-শো আয়োজন করবে। প্রতিটি আয়োজন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গত বছরের মতো এবারও দেশের সব জেলা-উপজেলায় তিন দিনব্যাপী বিজয়মেলা হবে। পাশাপাশি, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিশুদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে এ মন্ত্রণালয়।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিকেল ৩টায় অ্যাক্রোবেটিক শো ও সন্ধ্যা ৬টায় যাত্রাপালা ‘জেনারেল ওসমানী’ অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পরিবেশিত হবে বিজয় দিবসের গান। পাশাপাশি, সারাদেশের ৬৪ জেলায় একযোগে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের গান পরিবেশন করবেন নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা।

উপদেষ্টা ফারুক ই আজম জানান, বিজয় দিবস বাংলাদেশের গৌরবময় দিন। এবছর বিজয়ের উদ্‌যাপনে ধর্ম-বর্ণ, বয়স, জাতি, শ্রেণি নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ব্যাপক আকারে প্রস্তুতি চলছে। এবার পুরো জাতি একসঙ্গে বিজয়ের উৎসবে অংশ নেবে।

আপন দেশ/এসআর

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়