হাটে গরুর আমদানি থাকলেও নেই ক্রেতা
ঈদুল আজহার বাকি আছে ৫ দিন। তাই কোরবানির ঈদকে ঘিরে প্রস্তুত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার পশুর হাটগুলো। প্রতিবছরের মতো এবারও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই ট্রাকে ট্রাকে আসছে কোরবানি পশু। গতবছরের মতো এবারও ছোট থেকে মাঝারি আকারের গবাদিপশুর সংখ্যাই বেশি আসছে। তবে পশুর হাটে ক্রেতার সংখ্যা একেবারেই নগন্য। যদিও ঢাকায় সাধারণত পশু কেনাকাটা জমে শেষ দিকে এসে। আনুষ্ঠানিকভাবে মঙ্গলবার (৩ জুন) থেকে হাট শুরু হওয়ার কথা।
গত ঈদুল আজহার আগে রাজধানীর ‘সাদিক এগ্রো’র ১২ লাখ টাকার এক ছাগল দেশজুড়ে শোরগোল ফেলেছিল। সেই ছাগলটি কিনেছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ছেলে। মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ছাগল নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়। ছাগলকাণ্ড ঘিরে বেরিয়েছিল কেঁচো খুঁড়তে সাপ! দেশজুড়ে তৈরি হয় দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভের বিস্ফোরণ।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বছর ঘুরে আসন্ন কোরবানির ঈদ। তবে এবার ঈদে কিছুটা ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। দামি গরু কিংবা ছাগলের বিজ্ঞাপনের চাকচিক্য নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেই কোরবানির পশু নিয়ে বাগাড়ম্বর। যার পেছনে রয়েছে ছাগলকাণ্ডের ছায়া। এ বাস্তবতায় বড় খামারির মধ্যে আছে উদ্বেগও।
আরওপড়ুন<<>>বৃষ্টিতে ক্রেতাশূন্য পশুর হাট, হতাশ ব্যবসায়ীরা
যদিও চাহিদা কম মনে হলেও বড় পশুর সংখ্যাও কম নয় হাটগুলোতে। আর দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে আছে বিস্তর মতপার্থক্য।
খামারিরা জানান, এ বছর বড় গরুর চাহিদা নেই বললেই চলে। অনেকেই সস্তা ও ছোট পশুর দিকেই ঝুঁকছেন। সব মিলিয়ে ছাগলকাণ্ডের রেশ গিয়ে ঠেকেছে গোয়ালঘরে। কোরবানির হাটের দরকষাকষিতে, এমনকি খামারির সংসারেও।
এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে চলা বৈরী আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর গরুর হাট গুলোতেও। গবাদিপশুর ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন ব্যাপারীরা। সঙ্গে ইজারাদারদের বিরুদ্ধেও অসহযোগিতার নানা অভিযোগও রয়েছে।
তবে ইজারাদাররা বলছেন, নিজেদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন তারা। যাতে খামারি, ব্যাপারী কিংবা কোনো পশুর ক্ষতি না হয়।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
