
ছবি : আপন দেশ
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। সোমবার (২৬ মে) সকাল ১০টার দিকে বৈঠক করে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করেন নেতারা।
পরে বাদিউল কবীর ও নিজাম উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে সচিবালয়ের ভেতরে মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে বেলা ১১টায় বাদামতলায় সমাবেশ হয়।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা পরিষদে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের পর থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। তবে এরই মধ্যে রোববার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন অধ্যাদেশটি জারি করেন।
নতুন এ আইনে চার ধরনের অপরাধের জন্য চাকরি হারানোর বিধান রাখা হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের আচরণ সংক্রান্ত ধারায় বলা হয়েছে, কোনো কর্মচারী যদি এমন কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন, যা অন্যদের মধ্যে অনানুগত্য তৈরি করে, শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তাহলে তা অসদাচরণ হিসেবে বিবেচিত হবে।
অধ্যাদেশে আরও বলা হয়েছে, এককভাবে বা সমবেতভাবে কোনো সরকারি কর্মচারী যদি ছুটির অনুমতি ছাড়া বা যৌক্তিক কারণ ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন কিংবা কাজ থেকে বিরত থাকেন। অথবা অন্য কোনো কর্মচারীকে অনুপস্থিত থাকতে, দায়িত্ব পালনে বিরত থাকতে অথবা কাজে যোগ না দিতে প্ররোচিত করেন। তাহলে তিনিও একইভাবে অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত হবেন।
এ ধরনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুতি, অপসারণ অথবা নিম্নপদে অবনমনের মতো শাস্তি দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
সংযুক্ত পরিষদের নেতারা বলছেন, এ অধ্যাদেশের ফলে সরকারি চাকরিজীবীদের ন্যায্য অধিকার ক্ষুণ্ন হবে এবং এটি কর্মপরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।