 
										ছবি: সংগৃহীত
জাতিসত্তার কবি, প্রাবন্ধিক ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার বলেছেন, বাংলাদেশে নটী বিনোদিনী, রানী রাশমনী, বিবেকানন্দ, বিদ্যাসাগর, গান্ধী মঞ্চায়িত হয় মহিলা সমিতি থেকে। আমার এগুলোতে আপত্তি নেই। তারা সবাই বিখ্যাত বিখ্যাত মানুষ। কিন্তু আমাদের শরীয়তুল্লাহ, তিতুমীর, শমসের গাজী, রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারদের নিয়ে কেন নাটক হয় না? কেন হয় না বীরশ্রেষ্ঠদের নিয়ে? মওলানা ভাসানীকে নিয়ে তো ৫০টি ছবি হওয়ার কথা ছিল। শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক নিয়ে কি কোনো নাটক হয়েছে? বাংলাদেশ ডুবে যাচ্ছে নৈতিক শিক্ষার অভাবে।
বৃহস্পতিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর ধনিয়ালা পাড়া এলাকায় অবস্থিত বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত গুণীজন সংবর্ধনা ও বায়তুশ শরফ স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদের পক্ষ থেকে কবি আবদুল হাই শিকদারসহ চারজনকে স্বর্ণপদক দেয়া হয়।
আব্দুল হাই শিকদার বলেন, বাংলাদেশ ইন্ডিয়ার কাছে সবচেয়ে বেশি যে জায়গায় পরাজিত হয়েছে, সেটি হলো কালচার। ৫ আগস্টের পর রাজনীতির মাঠ আমরা আবর্জনামুক্ত করতে পেরেছি। কিন্তু এখনও বাংলাদেশের কালচার ইন্ডিয়া দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, দেশের পীর সাহেবরা পরিবারতন্ত্র কায়েম করেছেন। সেখানে আর যাই হোক জ্ঞানের চর্চা হয় না। সেখানে অন্ধ তৈরি করা হয়। কিন্তু বায়তুশ শরফ এমন একটি দরবার, যেখানে অন্ধ তৈরি করা হয় না। এখানে চক্ষুষ্মান মানুষ তৈরি করা হয়। এ মানুষ তৈরি করার কারখানার যিনি কাণ্ডারি তার প্রতি অটুট শ্রদ্ধা আমার।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে খ্যাতি-প্রতিপত্তির লোভে ৯০ ভাগ বুদ্ধিজীবী শয়তানের কাছে আত্মা বিক্রি করে দিয়েছে। সে আত্মা বিক্রি করা সম্প্রদায়ের ভেতরে দু-একটা মানুষ আমাদের আশার আলো দেখিয়েছেন। তিনি জ্ঞানের, সত্যের, ন্যায়ের রাহবার শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী।
সংবর্ধিত বাকি তিনজন হলেন-আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুহিবউল্যাহ ছিদ্দিকী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ইব্রাহীম খলিল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাহবারে বায়তুশ শরফ ও আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী।
কবি আবদুল হাই শিকদারের সম্মাননাপত্র পাঠ করেন মাসিক দিন দুনিয়ার সম্পাদক মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ। গত বছর এই পদকে ভূষিত হয়েছিলেন মাওলানা মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী, প্রখ্যাত ইসলামী সাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, লেখক ও গবেষক মো. মুখলেসুর রহমান ও কবি মুহিব খান।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































