
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী মো. জুবায়েদ হোসেন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. জুবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় তার ছাত্রীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। জুবায়েদের ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষা (১৯) ও তার প্রেমিক মো. মাহির রহমান (১৯) সহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে বংশাল থানায় এ মামলা দায়ের করে জুবায়েদের ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত। মাময়ার অন্য আসামী হলেন ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০) ও অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো. জুবায়েদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি টিউশন করতেন। প্রতিদিনের মত তিনি রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে বংশাল থানাধীন ৩১নং ওয়ার্ডস্থ নুর বক্স লেন এর ১৫নং হোল্ডিং রৌশান ভিলায় বর্ষাকে পড়ানোর জন্য যান। একই তারিখে সন্ধ্যা প্রায় ৫টা ৪৮ টার সময় ছাত্রী বর্ষা জুবায়েদ হোসেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই সৈকতকে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে জানায় যে, জুবায়েদ স্যার খুন হয়ে গেছে, কে বা কারা জুবায়েদ স্যারকে খুন করে ফেলছে।
এ ঘটনার বিষয়টি একই তারিখ রাত অনুমান ৭টার সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. কামরুল হাসান মামলার বাদী জুবায়েদের ভাইকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানান। সৈতক তার শ্যালক শরীফ মোহাম্মদকে সঙ্গে করে মোটরসাইকেল - যোগে ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থল রৌশান ভিলায় পৌঁছান।
সৈকত ঘটনাস্থলে গিয়ে তার পরিচিত বড় ভাই ইশতিয়াক হোসাইন জিপু আমাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল রৌশান ভিলা ভবনের নিচতলা থেকে উপরে উঠার সময় আমি ও ইশতিয়াক ভাই সিঁড়ি এবং দেয়ালে রক্তের দাগ দেখতে পান। ওই ভবনের ৩য় তলার রুমের পূর্ব পার্শ্বে সিঁড়িতে নিয়ে গেলে সিঁড়ির উপর জুবায়েদ এর রক্তাক্ত মরদেহ উপুড় অবস্থায় দেখতে পান।
আরও পড়ুন<<>>বর্ষা-মাহির যৌথ পরিকল্পনায় জোবায়েদকে হত্যা
সুরতহাল প্রস্তুত করার সময় তার গলার ডান পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখতে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনের নিকট হতে জেনে এবং আশপাশ এলাকার সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে উল্লিখিত আসামীসহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা আমার ভাইকে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার ডান পাশে আঘাত করে হত্যা করেছে মর্মে নিশ্চিত হন।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত্যুর ৪১ ঘন্টা পর বংশাল থানা পুলিশ এ মামলা গ্রহন করে। মামলার বাদী এনায়েত হোসেন সৈকত বলেন, আমাদের পরিবারের সকল সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করেই আমি বাদী হয়ে মামলা করেছি। সোমবার আমাদের মানসিক অবস্থা ভালো না থাকায় মামলা করতে একদিন দেড়ি হয়েছে।
মামলায় যারা প্রকৃত আসামি আমরা তাদের নাম উল্লেখ করেই মামলা করেছি। আমরা চাই কোন নির্দোষ ব্যক্তি যেন ফেসে না যায় যারা প্রকৃত অপরাধী তারাই শাস্তি পাক। মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করেছি তাদের সকলকেই পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। এজন্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা সুষ্ঠ বিচার চাই।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।