Apan Desh | আপন দেশ

বর্ষা-মাহির যৌথ পরিকল্পনায় জোবায়েদকে হত্যা

জবি প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১২:২৮, ২১ অক্টোবর ২০২৫

বর্ষা-মাহির যৌথ পরিকল্পনায় জোবায়েদকে হত্যা

সংগৃহীত ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পরিকল্পনা করেন ছাত্রী বর্ষা ও মাহির রহমান। গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে তারা এ পরিকল্পনা শুরু করেন। জোবায়েদকে মারতে তারা নতুন দুটি সুইচ গিয়ার কেনেন।

হত্যার দিন মাহিরের সঙ্গে ছিল তার দুই বন্ধু। মাহির এলোপাতাড়ি ছুরি চালায়। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, এটা বর্ষা ও মাহিরের পরিকল্পিত হত্যা। বর্ষার সঙ্গে মাহিরের ৯ বছরের সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু মাঝে আবার বর্ষা জোবায়েদের উপর দুর্বল হয়ে পড়ে। এসময় বর্ষা মাহিরকে না করে দেয়। সে জোবায়েদেকে পছন্দ করে বলে জানায়। কিন্তু কিছুদিন পরেই তার বয়ফ্রেন্ড মাহিরকে জানায় যে জোবায়েদকে আর ভালো লাগে না। তখন জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন বর্ষা ও মাহির।

আরও পড়ুন>>>জোবায়েদ হত্যার ঘটনায় ছাত্রীর বয়ফ্রেন্ড গ্রেফতার

ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে জোবায়েদকে হত্যার এ পরিকল্পনা স্বীকার করেনি বর্ষা। পরবর্তীতে মাহির ও বর্ষাকে মুখোমুখি করলে সকল সত্যতা জানায়। জোবায়েদকে কীভাবে সরিয়ে দেয়া যায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকেই পরিকল্পনা করেন তারা। এখন পর্যন্ত বর্ষাসহ চার জনকে আটক করা হয়েছে। মামলার শেষ প্রস্তুতি চলছে। 

জোবায়েদ হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯- ২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণের সভাপতি ও শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সদস্য ছিলেন। গত এক বছর ধরে জোবায়েদ হোসাইন পুরান ঢাকার আরমানীটোলায় ১৫, নুরবক্স লেনে রৌশান ভিলা নামের বাসায় বর্ষা নামের এক ছাত্রীকে ফিজিক্স ক্যামেস্ট্রী ও বায়োলজি পড়াতেন। ওই ছাত্রী বর্ষার বাবার নাম গিয়াসউদ্দিন।

রোববার আনুমানিক বিকাল ৪ টার ৪৫ মিনিটের দিকে ছাত্রীর বাসার তিন তলায় উঠতে সিঁড়িতে তিনি খুন হন। বাসার নিচ তলার সিঁড়ি থেকে তিন তলা পর্যন্ত সিড়িতে রক্ত পড়েছিলো। তিন তলার সিড়িতে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরবর্তীতে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বংশাল থানার সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি তারা তাতীবাজার মোড় অবরোধ করে রাখে।

রোববার রাত ১১ টার দিকে ওই ছাত্রী বর্ষাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ ওই ছাত্রীকে হেফাজতে নেয়। এদিন রাত ১১ টার সময় আরমানিটোলার নূরবক্স রোড়ের নিজ বাসা থেকে তাকে পুলিশ প্রটোকলে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। গতকাল জোবায়েদকে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। 

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়