
ফাইল ছবি
ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইরানে রাজধানী তেহরানসহ দেশজুড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২০ জুন) জুমার নামাজের পর লাখ লাখ মানুষ এসব বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এ বিক্ষোভের প্রশংসা করেছেন। খবর আল-জাজিরার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় জাতি সাহসিকতার সঙ্গে তাদের শক্তি প্রদর্শন করেছে। এই বিক্ষোভগুলো আমাদের প্রিয় জাতির সাহসিকতা, যুক্তিবোধ ও আধ্যাত্মিকতার শক্তিকে তুলে ধরেছে।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলের আকস্মিক হামলার পর থেকে প্রকাশ্যে আসেননি খামেনি। তবে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট সক্রিয় রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বারবার ইঙ্গিত দিচ্ছেন, তারা এই সামরিক অভিযানের মাধ্যমে ইরানের নেতৃত্বকে উৎখাত করতে চায়।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, খামেনি আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। তাকে হত্যার কথা পর্যন্ত বলা হয়েছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের মধ্যে তেহরান, শিরাজ, তাবরিজ, মাশহাদ, কোম, গিলান, ইয়াজদ, ইস্পাহানসহ ইরানের বিভিন্ন শহরে বড় বিক্ষোভ হয়। শুক্রবার ইরানে ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদ জানাতে মহাসড়কে নামেন লাখ লাখ মানুষ।
তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্র জুমার নামাজের পর বড় জমায়েত হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল ইরান, ফিলিস্তিন ও হিজবুল্লাহর পতাকা।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, তেহরানে পবিত্র জুমার নামাজের পর ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে বিশাল মিছিল করা হয়। এ মিছিলে অংশ নেন ইরানের প্রধান বিচারপতি গোলাম হোসেই মোশেইনি, ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের সাবেক কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জাফরিসহ সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও ইরানের পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার।
ইরানের সমর্থনে ইরাকেও বড় সমাবেশ হয়েছে। জুমার নামাজের পর রাজধানী বাগদাদের সদর এলাকায় জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ। এ সময় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দিতে শোনা যায়। এ ছাড়া লেবানন, ইয়েমেন, তুরস্ক, সিরিয়া ও পাকিস্তানে ইরানের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবং দেশটিতে ইসরায়েলের হামলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।