সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের কমিশনার অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার পদত্যাগ করেছেন। জাকসু নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ স্বীকার করে পদত্যাগ করেন তিনি।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার। তিনি বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে আমরা যা বুঝি নির্বাচনে সেটি ছিল না। অনেক অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। আমি যাতে পদত্যাগ না করি সেজন্য বৃহস্পতিবর (১১ সেপ্টেম্বর) থেকেই আমার ওপর চাপ ছিল, তবুও আমি পদত্যাগ করছি।
এদিকে, জাকসু নির্বাচনের হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এখন চলছে কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনা। জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনিরুজ্জামান বলেন, জাকসু কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনায় পোলিং অফিসারের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আজ রাতের মধ্যেই ফল ঘোষণা করা হবে।
আরওপড়ুন<<>>ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেই জাকসু’র ভোট গণনা শুরু
জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর প্রায় ৬৭-৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদে মোট ২৫টি পদে লড়েছেন ১৭৭ জন প্রার্থী।ভিপি পদে ৯ ও জিএস পদে ৮ জন প্রার্থী ছিলেন।
ছাত্রীদের ১০টি আবাসিক হলে ১৫০টি পদের মধ্যে ৫৯টিতে কোনো প্রার্থী ছিলেন না। একজন করে প্রার্থী ছিলেন ৬৭টি পদে। সে হিসেবে মাত্র ২৪টি পদে ভোট নেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের মধ্যে ২টি হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলসহ পাঁচটি প্যানেল ভোট বর্জন করে।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
