Apan Desh | আপন দেশ

রাবি শিক্ষকের বাসায় ঢুকে ল্যাপটপ, স্বর্ণ, নগদ টাকা চুরি

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:৪৪, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৮:২২, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাবি শিক্ষকের বাসায় ঢুকে ল্যাপটপ, স্বর্ণ, নগদ টাকা চুরি

ছবি: আপন দেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক কোয়ার্টারে এক শিক্ষকের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা বাসার তালা ভেঙে দুই ভরি সোনার গয়না, ল্যাপটপ, মোবাইল ও নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (০২ সেপ্টেম্বর) রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমপাড়া সংলগ্ন শিক্ষক কোয়ার্টার-এর প-৩৪ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষক হলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক ড. সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি তার দুই মেয়েকে নিয়ে বাসায় থাকতেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল রাত প্রায় দেড়টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হঠাৎ প্রচন্ড গতিতে ঝড়ো বাতাস শুর হয়। এ সুযোগে বাসার দরজার গ্রীল ভেঙে চোর বাসার ভেতরে প্রবেশ করেন। এসময় ভুক্তভোগী শিক্ষক তার মেয়েদেরকে নিয়ে বাসায় দুই তলায় ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। এসময় বাসায় থাকা দুইটি ল্যাপটপ, দুই ভরি সোনার গহনা, দুইটি মোবাইল, নগদ ৫০ হাজার টাকা, কাপড়চোপড়সহ আরও অনেককিছু চুরি করে নিয়ে যান। এছাড়াও বাসার সবকিছু এলোমেলো করে রেখে যান তারা।

আরও পড়ুন>>>রাকসু নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম নেয়ার সময় বাড়ল

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক ড. সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, গতকাল আনুমানিক রাত দেড়টার দিকে আমার বাসার দরজা ভেঙে বাসায় চোর প্রবেশ করেন। এসময় আমার বাসায় থাকা দুইটি ল্যাপটপ, দুইটি মোবাইল ফোন, দুই ভরি সোনার গহনাসহ প্রায় নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। এছাড়াও আমার ছেলে মেয়েদের স্কুল ব্যাগ,কাপড়চোপরসহ অনেক কিছুই তারা নিয়ে গেছে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার আইডি কার্ডসহ এনআইডি কার্ডও নিয়ে গেছে। তাদের নিয়ে আসা একটা স্ক্রু ডাইভার তারা রেখে গেছেন। এই ঘটনা নিয়ে আমি থানায় অভিযোগ করেছি। পরে পুলিশ এসে তা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আবাসিক এলাকায় এমন চুরির ঘটনা আসলেই মেনে নেয়া যায়না। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। যদি বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের নিরাপত্তা না থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য কোয়ার্টার থাকার প্রয়োজন নেই।

লিখিত অভিযোগ বিষয়ে মতিহার থানার ওসি আব্দুল মালেক বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের একটি টিম সেখানে গিয়েছিল, ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে আসছে। আমরা এ ঘটনা নিয়ে কাজ করছি। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষক সকালেই আমাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। এর পরেই পুলিশ প্রশাসনেকে নিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পুলিশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে আমাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়। আশা করছি মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে চোরদের সনাক্ত করতে পারবেন পুলিশ সদস্যরা।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়