
ছবি: আপন দেশ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে দুইদিনে ভারত থেকে এলো ৫৬ টন কাঁচামরিচ। আকস্মিকভাবে কাঁচামরিচের দাম স্থানীয় বাজারে ১শ টাকার উপরে বেড়ে যাওয়ায় এ কাঁচামরিচ আমদানি করা হয়েছে। সোনামসজিদ পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন পর বন্দরে ভারতীয় কাঁচামরিচ আমদানি হচ্ছে।
গত শনিবার ৩০ টন মরিচ আমদানির পর গতকাল রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত আরও ৫টি ট্রাকে ২৬ টন মরিচ আমদানি হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় এ মরিচ পৌঁছেছে।
মাইনুল ইসলাম বলেন, ভারতীয় মরিচ আমদানির খবরে স্থানীয় বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের সদরঘাট পাইকারি ও খুচরা বাজারে দামের বেশ ফারাক লক্ষ্য করা গেছে। কাঁচা বাজার এবং নিউমার্কেট কাঁচা বাজারের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে দাম বাড়তি থাকলেও রোববার বাজারে সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে, ফলে দামও কিছুটা কমেছে।
কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা আব্দুল আলিম জানান, পাইকারি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ১৮০ টাকায় এবং খুচরা পর্যায়ে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। শনিবার পাইকারি দাম ছিল প্রকারভেদে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা এবং খুচরায় ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। তার আগের দিন পাইকারি ছিল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা ও খুচরায় বিক্রি হয়েছে ৩২০ থেকে সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকায়।
অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টিতে ক্ষেতে মরিচ নষ্ট হয়ে সরবরাহ কমে যায়। এর সঙ্গে পূজার ছুটিতে আমদানি বন্ধ থাকায় বাজারে সংকট তৈরি হয়। মাত্র এক সপ্তাহ আগে যে মরিচ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। খুচরায় ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়, সে মরিচই এক সপ্তাহে প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা জানান, হঠাৎ দাম বৃদ্ধি তাদের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছে। তাদের আশা-ভারতীয় মরিচ বাজারে আসায় দ্রুত দাম কমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে। এজন্য বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতাদের।
আপনদেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।