ছবি: আপন দেশ
দীর্ঘ ২৩ বছর পর ফ্যাসিবাদ মুক্ত পরিবেশে ০২ জুলাই (বুধবার) অনুষ্ঠিত হচ্ছে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সম্মেলন। এ সম্মেলনকে ঘিরে উৎসব মুখর পরিবেশের পাশাপাশি বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও। সম্মেলনকে সফল করতে একদিকে যেমন চলছে প্রস্তুতি, অপরদিকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে চলছে উৎসব।
জেলা বিএনপির দুটি বলয়ের নেতারা প্রতিদিন শহরে মিছিল-মিটিং করছেন। একপক্ষের নেতৃত্বে আছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র-বাণিজ্য মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী। অপরপক্ষের নেতৃত্বে আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব স্নেহাংসু সরকার কুট্টি। দুপক্ষের স্ব-স্ব প্রার্থীর পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চালাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। দীর্ঘদিন পর জেলা বিএনপির সম্মেলনকে ঘিরে শহরের মোড়ে মোড়ে অসংখ্য গেট, ডিজিটাল পোস্টার, ফটোকার্ডসহ নানা প্রচারণায় নতুনমাত্রা যোগ করছে।
সম্মেলনে আহবায়ক আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সম্মেলনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন বর্তমান আহবায়ক কমিটির আহবায়ক আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া, সদস্য সচিব স্নেহাংসু সরকার কুট্টি, জেলা বিএনপির সদস্য মাকসুদ আহমেদ বায়েজীদ পান্না। সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তৌফিক আলী খান কবির, বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. মো. মজিবুর রহমান টোটন, দেলোয়ার হোসেন নান্নু, সদ্য বিলুপ্ত জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, সাবেক জেলা ছাত্রদল সভাপতি বশির মৃধা।
এবারের সম্মেলনে ৮ উপজেলা কমিটি, ৫ পৌর কমিটি এবং আহবায়ক কমিটিসহ ১৪টি ইউনিটের প্রায় দেড় হাজার সদস্য তাদের গোপন ভোটের মাধ্যমে জেলার নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছে আয়োজক কমিটি।
আরওপড়ুন<<>>বহিস্কৃত নেতাকে দিগম্বর করল বিএনপি
আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব স্নেহাংসু সরকার কুট্টি জানান, ফ্যাসিস্ট মুক্ত পরিবেশে দীর্ঘ ২৩ বছর পর জেলা বিএনপির এি-সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীরা ব্যাপক উচ্ছসিত। গত ২৪ জুন সম্মেলন করার জন্য আমরা চিঠি পেয়েছি। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক সকল ধরণের প্রস্তুতি শেষের পথে। সম্মেলনে ১৪টি ইউনিটের প্রায় দেড় হাজার সদস্য গোপন ভেটের মাধ্যমে কাউন্সিলরগণ তাদের নেতা নির্বাচন করবেন।
তিনি আরও জনান, আমি কোন পদে জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবো তা জেলার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সিদ্ধান্ত নেবে। ইতোমধ্যে কয়েক দফা প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। গ্রুপিংয়ের কথা অস্বীকার করে স্নেহাংসু বলেন, বিএনপি একটি বিশাল সংগঠন। এখানে নেতৃত্বের প্রতিযোগীতা আছে, থাকবে। তবে সেটা গ্রুপিং নয়।
সম্মেলনের উদ্ভোধন করবেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন, ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদুস্সুর রহমান, মাহাবুবুল হাসান নান্নু, সদস্য মো. হাসান মামুন। এছাড়া পটুয়াখালীর সকল কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও উপস্থিত থাকবেন বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে সম্মেলনের পর ২০১৩ সালের ১৪ মে ১৭১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। কমিটির সভাপতি হন সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, এম.এ. রব মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক এবং অ্যাড. মো. মজিবুর রহমান টোটনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। এ কমিটি ২০২০ সালের ২ নভেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করলেও ৩ নভেম্বর ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। আগামী ০২ জুলাই বর্তমান কমিটিকে সম্মেলন করার জন্য গত ২৪ জুন চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি ।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
