মৃত্যুর ২০ মাস পর মরদেহ তুলতে এসে ফিরে গেলেন ম্যাজিস্ট্রেট

গাজীপুরের কালীগঞ্জে মৃত্যুর ২০ মাস পর কবর থেকে সুমন পালমা নামে একব্যক্তির মরদেহ তুলতে এসে স্থানীয়দের বাধায় ফিরে গেলেন ম্যাজিস্ট্রেট।

অধিকতর তদন্তের জন্য মঙ্গলবার (০৩ জুন) দুপুরে কালীগঞ্জের তুমলিয়া ইউনিয়নের দড়িপাড়া এলাকায় গির্জার কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের আদেশ দেয় গাজীপুর অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

সরেজমিনে দেখা যায়, আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সহিদ উল্লাহ গির্জার কবর থেকে সুমন পালমার মরদেহ উত্তোলন করতে আসে। কিন্তু মামলার বাদী অনুপস্থিত থাকায় এবং মৃতের স্ত্রী-সন্তান, বাবা-মা, ভাই-বোনসহ স্থানীয়দের বাধায় আদালতের আদেশ থাকা সত্বেও মরদেহ উত্তোলন করতে পারেনি। এ সময় উপস্থিত উত্তেজিত জনতা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বাদীর উপস্থিতি দাবি করে মৌখিক ও লিখিতভাবে আবেদন করেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ উত্তোলন না করে ফিরে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সহিদ উল্লাহ।

আরওপড়ুন<<>>মিথ্যা হত্যা মামলায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হয়রানি

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রেজাউল হক, দড়িপাড়া ধর্মপল্লীর প্রধান পুরোহিত ফাদার স্টেনিছ লাউজ গমেজ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য,মৃতের স্বজন, স্থানীয়রাসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা।

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সহিদ উল্লাহ এ প্রতিবেদককে বলেন, মামলার বাদী অনুপস্থিত থাকায় মৃতের পরিবারের স্বজন ও স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে, ন্যায় বিচারের স্বার্থে মরদেহ উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি।

মৃত সুমন পালমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা সমর পালমা বলেন, মামলার বাদী বার্নাড রোজারিও আমার পরিবারের কেউ না। সে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার জন্য একাজ করেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু প্রতিকার চাই।

সুমন পালমার স্ত্রী ঝুমুর পালমা বলেন, আমার স্বামী পৌরসভার ভাদার্তী এলাকায় একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্র (রিহ্যাব) পরিচালনা করতেন। সেদিন রাতে অসুস্থ হলে আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য কালীগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আপন দেশ/এমএইচ