
পুস্কর খীসা মিমো
ক্রীড়াঙ্গণে পাক-ভারত দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। তবে চলতি বছর দুই প্রতিবেশি দেশের মধ্যে সেটি আরও কঠিন রুপ ধারণ করেছে। যে কারণে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া কাপ হকি টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে পাকিস্তান। আর তাতে বাংলাদেশের সামনে এশিয়া কাপে খেলার দুয়ার খুলে গেছে।
ইতমধ্যে এশিয়া কাপে অংশগ্রহণকারী দলের মধ্যে ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাতে কঠিন গ্রুপে পড়েছে লাল সবুজ দল। বাংলাদেশ পড়েছে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়ার গ্রুপে। চলতি আগস্টের শেষে হতে যাওয়া ভারতের এ টুর্নামেন্টের জন্য বাংলাদেশ দল চূড়ান্ত হয়েছে। তবে ১৮ সদস্যের দলে জায়গা হয়নি সবশেষ অধিনায়ক পুস্কর খীসা মিমো ও অভিজ্ঞ নাইম উদ্দিনের!
মঙ্গলবার অনুশীলনের পর মৌখিকভাবে মিমো ও নাইমসহ ৬ খেলোয়াড়কে না করে দেয়া হয়েছে। তারা এখন ক্যাম্প ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বাদ পড়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মিমো। তিনি অভিযোগ করেছেন পারফরম্যান্স নয়, ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে তাদের বাদ দেয়া হয়েছে। মিমো বলেন, আমরা কেন দল থেকে বাদ পড়েছি তা জানি না। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে আমাদের দলে নেয়া হয়নি। তানাহলে কুপার টেস্টে ২৮০০ করেও দলে জায়গা হলো না কেন? আর অনুশীলনে পারফরম্যান্স দেখানোর সুযোগই তো সেভাবে দেয়নি। মনে হচ্ছিল সব পূর্বপরিকল্পিত। কীভাবে আমাদের বাদ দেবে তা আগে থেকে সাজানো।
আরওপড়ুন<<>>এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে শঙ্কা!
ব্যক্তিগত ক্ষোভের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রাঙামাটি থেকে উঠে আসা খেলোয়াড় জানালেন, গত ইন্দোনেশিয়ার টুর্নামেন্টে আমি অধিনায়ক ছিলাম। সেখানে খাবার নিয়ে সমস্যা ছিল। ছিল আরও কিছু বিষয়। আমরা টানা দুই দিন একপ্রকার ঠিকমতো না খেয়ে খেলেছি। এসব নিয়ে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলায় আমরা রোষানলে পড়েছি। আমরা শুনেছি তারা ঢাকায় ফিরে আমাদের নামে নেতিবাচক রিপোর্ট দিয়েছে। হয়তো এসব কারণে এবার চূড়ান্ত দলে রাখা হয়নি।
বাদ পড়ার পর হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করে সদুত্তর পাননি তারা। মিমো বললেন, সাধারণ সম্পাদক স্যার বললেন এখানে তার কিছু করার নেই। কোচ-নির্বাচক যা ভালো মনে করেছেন তাই হয়েছে। কোনও ব্যক্তি আক্রোশে কিছু হয়নি। আগে যা হয়েছে তা নাকি তারা ভুলে গেছেন!
এরপরই মিমো আক্ষেপের সুরে বললেন, এত বছর জাতীয় দলে খেলেছি। এভাবে বাদ পড়বো আশা করিনি। এভাবে কারও ওপর ব্যক্তিগত ক্ষোভ মেটানো ঠিক না। এশিয়া কাপে সুযোগ আছে ভালো করার। দেশের জন্য হলেও সর্বোচ্চ ভালোটাই হওয়া উচিত ছিল।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় দলের কোচ মশিউর রহমান বিপ্লবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মিটিংয়ে আছেন বলে জানান, আমি মিটিংয়ে আছি। আপনাকে পরে ফ্রি হয়ে ফোন দিচ্ছি।
তবে জাতীয় দলের ম্যানেজার বর্ষীয়ান কাওসার আলী বলেছেন, ভালো মন্দ মিলিয়ে চূড়ান্ত দল হয়েছে। ওরা কেন বাদ পড়েছে জানি না। দলের জন্য সর্বোচ্চ ভালোটা হয়তো করার চেষ্টা হয়েছে। এরচেয়ে বেশি আমি কী আর বলবো। এছাড়া সবসময় এমন কিছু তো হয়ই।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।