Apan Desh | আপন দেশ

সাকলাইনের চোখে গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার স্বপ্ন 

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:৫৪, ১৪ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ১২:১১, ১৪ আগস্ট ২০২৫

সাকলাইনের চোখে গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার স্বপ্ন 

সাকলাইন মোস্তফা সাজিদ

আরও একটি ঘরোয়া টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন সাকলাইন মোস্তফা সাজিদ। জুলাই গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে আয়োজিত দাবা টুর্নামেন্টে এক রাউন্ড বাকি থাকতেই ট্রফি নিশ্চিত করেন ১৩ বছর বয়সী দাবাড়ু। শেষ পর্যন্ত ৭ রাউন্ডে সব কটি ম্যাচই জিতেছে তিতাস ক্লাবের ফিদে মাস্টার।  

টুর্নামেন্টে সাকলাইন হারিয়েছেন তার চেয়ে বেশি রেটিংয়ের শক্তিশালী তিন প্রতিপক্ষ মিনহাজ উদ্দিন আহমেদ, সুব্রত বিশ্বাস ও তাহসিন তাজওয়ারকে। এ বছর জাতীয় জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন হন সাজিদ। 

এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পর সাকলাইন জানালেন তার স্বপ্নের কথা- হতে চান বাংলাদেশের ষষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টার। কিন্তু কোনও অনুশীলন ছাড়াই কি সেটা সম্ভব? অথচ গত কয়েক বছর যে সব আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন সাকলাইন, কোনোটাতে কোচ ছিল না। তাও আবার কোনও অনুশীলন ছাড়াই। ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ- এমনকি গত জুনে সর্বশেষ দুবাই ওপেনেও খেলেছেন কোচ ও অনুশীলন ছাড়াই। তারপরও দুবাইয়ের বি ক্যাটাগরিতে ষষ্ঠ হয়ে জিতেছেন এক হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার।

সাকলাইনের বাবা আবুল কালাম আজাদ বলছিলেন, ও যথেষ্ট মেধাবী। ওর যেটা প্রয়োজন, সেটা হলো ট্রেনিং। অন্তত ছয় মাসের ট্রেনিংও যদি করানোর ব্যবস্থা করা যেতো।

একই আক্ষেপ সাকলাইনের কণ্ঠেও, আমার ট্রেনিংয়ের খুব প্রয়োজন। ট্রেনিং করে কোথাও খেলতে গেলে খুব ভালো রেজাল্ট হতো। আমি আসলে নিজের চেষ্টায় খেলে যাচ্ছি। প্রতিদিন ৬ ঘণ্টা একা একা অনুশীলন করি। এটা যথেষ্ট না।

আরওপড়ুন<<>>নেপাল সফরের স্কোয়াডে হামজা, বাদ শমিত

সাকলাইনের বর্তমান ফিদে রেটিং স্ট্যান্ডার্ড দাবায় ২২০৪। প্রথমে আন্তর্জাতিক মাস্টার, এরপর ধাপে ধাপে গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি, আমি দেশের ষষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টার হতে চাই।

কিন্তু চাইলেই কি সম্ভব? পাশের দেশ ভারতে দিব্যা দেশমুখ সম্প্রতি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। তার উদহারণ টেনে সাকলাইন বলেন, ওরা অনেক সুযোগ সুবিধা পায়। ওদের স্পন্সরও থাকে। ওদের মতো সুযোগ সুবিধা ও ট্রেনিং পেলে আমিও দ্রুতই গ্র্যান্ডমাস্টার হতে পারবো।

আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলতে যাওয়ার আগে বেশির ভাগ সময় স্পন্সর জটিলতায় ভোগেন সাকলাইন। তবে সর্বশেষ টুর্নামেন্টে দুবাইয়ে যেতে তাকে সহযোগিতা করেন তিতাস ক্লাবের কর্মকর্তা কাজী সাইদ হাসান।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়